২৬ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে শিবরাত্রি। এই দিন উপবাস করে শিবের মাথায় জল ঢালেন অনেকেই। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হল শিবরাত্রিরের উৎসব। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, এই দিন ভগবান শিব এবং মাতা পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল। এই দিন শিব ও শক্তির মিলন হিসেবেও পালিত হয়।
শিবরাত্রিরের পুজো করার নিয়ম
মহাশিবরাত্রি অর্থাৎ বুধবার, ব্রক্ষ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠুন। স্নান করুন এবং ধ্যান করুন এবং তারপর উপবাসের সংকল্প করুন। সারাদিন ধরে শিবকে স্মরণ করতে থাকুন অথবা শিব পঞ্চাক্ষর মন্ত্র ওঁ নমঃ শিবায় জপ করুন।
কেউ এদিন নির্জলা উপবাস করুন আবার কেউ ফল খান। আপনি কোনটা বেছে নেবেন তা আপনার ব্যাপার। তবে, যা করবেন তা নিশ্চিত ভাবে করুন।
মহাশিবরাত্রিতে উপবাস যদি করেন তাহলে প্রদোষের সময় শিবলিঙ্গ পুজো করার পরই খারাপ খান।
যদি উপবাস করেন তাহলে মনে রাখবেন শিবলিঙ্গে প্রসাদ ভোগ নিবেদন করবেন না। কোনও প্রসাদও দেবেন না।
সকালে স্নান করে ধ্যান করুন। তারপর উপবাসের প্রতিজ্ঞা করুন। শিবমন্দিরে গিয়ে জল, বেলপত্র, অক্ষত, সাদা চন্দন, দুধ, দউ দিন। সারাদিন শিবের মন্ত্র জপ করুন।
ঘরে পুজো করলে একটি মঞ্চ স্থাপন করুন। তাতে লাল কাপড় ছড়িয়ে দিন। কিছু চাল রেখে শিবের মূর্তি স্থাপন করুন। পুজোস্থলে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন।
একটি মাটি বা পাত্র নিন। তাতে স্বস্তিক আঁকুন। কলসে গঙ্গাজল, সুপারি, হলুদের গুঁড়ো, মুদ্রা দিন।
শিবলিঙ্গে সুপারি, লবঙ্গ, এলাচ, চন্দন, হলুদ, দুধ, দই, বেলপাতা, পদ্মবীজ, ধুতুরা, গাঁজা ও মধু অর্পন করুন।
রাত জেগে থাকলে সে সময় শিবের নাম কীর্তন করুন।
ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর জন্য উৎসর্গ করা হয় এই দিনটি। এই দিন ভক্তি ভরে পুজো করলে মনের সকল ইচ্ছা পূরণ হয়। কথিত আছে, সঠিক নিয়ম করে আরাধনা করলে মাতা পার্বতী ও ভগবান শিব উভয়ের কৃপা মেলে।