
Solar and lunar eclipse 2026: নতুন বছরে চারটি গ্রহণ হবে। জ্যোতিষশাস্ত্রে সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই সময়ে শুভ কার্যকলাপ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬ সালেও চারটি গ্রহণ দেখা যাবে। এর মধ্যে দুটি সূর্যগ্রহণ এবং দুটি চন্দ্রগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ২০২৬ সালে মোট দুটি চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে।
২০২৬ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ ফেব্রুয়ারিতে হবে, তারপরে মার্চ মাসে চন্দ্রগ্রহণ হবে। দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ আগস্টে হবে। উল্লেখ্য যে ২০২৫ সালে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ২৯ মার্চ এবং দ্বিতীয়টি ২১ সেপ্টেম্বর হয়েছিল, তবে ভারতে কোনওটিই দেখা যায়নি। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ১৪ মার্চ এবং ৭ সেপ্টেম্বর হয়েছিল। দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান ছিল।
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬-এর প্রথম সূর্যগ্রহণ ১৭ ফেব্রুয়ারি হবে। এটি একটি বলয়াকার সূর্যগ্রহণ হবে। যদিও এই সূর্যগ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান হবে না, তবে জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাম্বিয়া, মোজাম্বিক, মরিশাস, অ্যান্টার্কটিকা, তানজানিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকায় এটি দৃশ্যমান হবে।
বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণটি ২০২৬ সালের ১২ আগস্ট শ্রাবণ মাসের অমাবস্যায় হবে। এটি ভারত বাদে উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ, আর্কটিক, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং স্পেনে দৃশ্যমান হবে।
বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণটি ফাল্গুন পূর্ণিমায়, মঙ্গলবার, ৩রা মার্চ, ২০২৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হবে। এই গ্রহণ ভারতে এবং এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশেই দৃশ্যমান হবে। যেহেতু এই গ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান হবে, তাই এখানেও সূতক কাল প্রযোজ্য হবে।
বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৬ তারিখে ঘটবে। এটি একটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে, তবে এটি ভারতে দৃশ্যমান হবে না, তাই সূতক কাল প্রযোজ্য হবে না। এই গ্রহণ মূলত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ এবং আফ্রিকার কিছু অংশে দৃশ্যমান হবে।
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চারটি গ্রহনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘন ঘন ঘটবে। এর মধ্যে রয়েছে ভূমিকম্প, বন্যা, সুনামি এবং বিমান দুর্ঘটনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির সম্ভাবনা কম। চলচ্চিত্র এবং রাজনীতি থেকে দুঃখজনক খবর। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। রোগব্যাধি হ্রাস পাবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। আয় বৃদ্ধি পাবে। বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকবে।
বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে, অর্থাৎ রাজনৈতিক পরিবেশ বেশি থাকবে। রাজনৈতিক অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্ষমতা কাঠামোতে পরিবর্তন আসবে। বিশ্বজুড়ে সীমান্ত উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবাদ, হিংসা, প্রতিবাদ, ধর্মঘট, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, দাঙ্গা এবং অগ্নিসংযোগের সম্ভাবনা রয়েছে।