সেঁজুতি দাস
বছর ঘুরে আবার বাপের বাড়ি ফিরছেন মা দুর্গা। তাই তাঁকে নিয়ে তোড়জোড় এখন তুঙ্গে। পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে মায়ের আগমনীর প্রস্তুতি। সেই সঙ্গেই মাতৃ আরাধনার জন্য নতুন নতুন থিমে সেজে উঠছে ক্লাবগুলি। সেইমতই ঠাকুরপুকুর পল্লীমঙ্গল ক্লাব সেজে উঠতে চলেছে আবারও এক নতুন থিমে।
সৃষ্টির মূলে রয়েছে প্রকৃতি আর নারী। এদের অবহেলা মানেই ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাওয়া। তাই ধ্বংস নয় সৃষ্টি চাই, এই বার্তা দিতেই ঠাকুরপুকুর পল্লীমঙ্গল ক্লাবের এবারের থিম উমার কথকতা। প্রকৃতি আর নারীর মেলবন্ধন দেখা যাবে মন্ডপে।
সত্তর বছরের পুজোয় একই সঙ্গে প্রকৃতি আর উমার আবাহন করা হচ্ছে পল্লীমঙ্গলে। দেবী এখানে সাবেকী। বড় তুলসীমঞ্চের মধ্যে অধিষ্ঠাত্রী। হৈমবতীর বুক চিরে সতীর আগমন। শিল্পী অরিন্দম নাথ। তাঁর চিন্তাভাবনায় কালিঘাটের পটুয়াপড়ায় মূর্তি তৈরি হচ্ছে। কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় দাস জানান, প্যান্ডেলে নারী নির্যাতনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হচ্ছে। নিষ্ঠুরতার প্রতীক হিসেবে মন্ডপের সামনে থাকছে বিশিল আকারের একটা হাড়িকাঠ। মেদিনীপুর থেকে আনা হচ্ছে ছ'টা নারী মূর্তি। পুজো কমিটির সভাপতি অসীম তালুকদার জানান, এবার তাঁদের বাজেট পনের লক্ষ টাকা। মূর্তি থেকে মন্ডপ সবটাই তৈরি হচ্ছে প্রাকৃতিক উপাদানে। পুজোর উদ্বোধন হবে তৃতীয়াতে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।