
২৫ বছর আগে ছিলেন ক্রিস কেয়ার্নস-ক্রিস হ্যারিস। এবার আছেন রাচিন রবীন্দ্র-মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতীয় দল ২০০০ সালের আইসিসি নক-আউট দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল। ফাইনালেও জয় হাতের মুঠোয় মনে হচ্ছিল। কিন্তু কঠিন পরিস্থিতিতে অসাধারণ ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবার আইসিসি টুর্নামেন্ট জিতিয়েছিলেন দুই ক্রিস। এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। রবিবার ফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ড লড়াই। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও, বিপক্ষ দলের চমকপ্রদ পারফরম্যান্স ভারতীয় ক্রিকেটারদের কিছুটা হলেও চাপে রাখছে। নিউজিল্যান্ড দল 'চোকার্স' নয়। ফলে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ভারতীয় দলকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাতে হবে।
কেন নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে চিন্তা?
গ্রুপ এ-র শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪৪ রানে জয় পায় ভারতীয় দল। কিন্তু তারপরেও ফাইনালের আগে নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না ভারতীয় শিবির। কারণ, চলতি আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফাইনালের আগে পর্যন্ত যতগুলি ম্যাচ খেলেছে ভারতীয় দল, সেই ম্যাচগুলিতে বিপক্ষ দল এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলেছে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড দল ইতিমধ্যেই দুবাইয়ে খেলেছে। ফলে পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত কিউয়ি ক্রিকেটাররা। এটা তাঁদের কাছে বড় সুবিধা। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের পাশাপাশি স্পিনাররাও ভালো ফর্মে। ফলে ভারতীয় দল সহজেই ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। ফাইনালে জোরদার লড়াই দেখা যেতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের ভরসা রবীন্দ্র
এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইতিমধ্যেই জোড়া শতরান করে ফেলেছেন রবীন্দ্র। বুধবার সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে ১০৮ রান করার পাশাপাশি ১ উইকেটও নেন এই তরুণ অলরাউন্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শতরান করেন কেন উইলিয়ামসন। এই দুই ক্রিকেটারই অসাধারণ ফর্মে। ফলে তাঁদের দ্রুত আউট করতে হবে ভারতের বোলারদের। না হলে বিপদ হতে পারে। স্পিন বিভাগে রবীন্দ্রর পাশাপাশি মিচেল স্যান্টনার, ব্রেসওয়েল, গ্লেন ফিলিপসও ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন। নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডিংও অসাধারণ। ফলে খুব স্বস্তিতে নেই ভারতীয় দল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।