ফের তামিলনাড়ুতে (Tamilnadu) এক কবাডি (Kabaddi) প্লেয়ারের মৃত্যু। সামারসল্ট (Somersault) দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে যান কবাডি প্লেয়ার বিনোদ কুমার (Vinod Kumar)। বেশ কিছু দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মৃত্যু তাঁর।
গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে কবাডি প্রতিযোহিতা চলার সময় কোর্টেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর সালেম জেলার মন্নাদিকুপম গ্রামের কবাডি প্লেয়ার বিমল রাজ। আর তার ঠিক এক মাস যেতে না যেতেই সেই তামিলনাড়ুতেই মৃত্যু হল আরও এক কবাডি প্লেয়ারের। মৃতের নাম বিনোদ কুমার। বিমল রাজের মতই বিনোদ কুমারের মর্মান্তি ভিডিও নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে। তবে এক্ষেত্রে কবাডি খেলতে গিয়ে কোর্টে মৃত্যু হয়নি বিনোদ কুমারের। তামিলনাড়ুর তিরুভান্নামালাইয়ে টেম্পল ফেস্টিভ্যালের সময় সামারসল্ট দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। সেইসময় বেকায়দায় পড়ে যান। তারপর বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিনো কুমার।
গত ৮ অগাস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় বিনোদ কুমারের তামিলনাড়ুর তিরুভান্নামালাইয়ে টেম্পল ফেস্টিভ্যালের সময় সামারসল্ট দেওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সামারসল্টে আমার জানি যে দৌড়ে গিয়ে পরপর একাধিক ফ্লিপ দিয়ে নিজের পাওয়া দাঁড়াতে হবে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে বিনোদ কুমার দৌড়ে গিয়ে একটি ফ্লিপ দেওয়ার পর যখন দ্বিতীয় ফ্লিপ দেন তখন বেকায়দায় পড়ে যান তিনি। মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত লাগে তার। তড়িঘড়ি বিনোদকে নিকটবর্তী অরনি গভর্নমেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পরে তাঁকে ভেলোর গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেও তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চেন্নাই গভর্নমেন্ট হাসপাতাতে ভর্তি করা হয় কবাডি প্লেয়ারকে। তবে ক্রমশ অবস্থাসল অবনতি হতে থাকে বিনোদ কুমারের। অবশেষে স্বাধীনতা দিবসের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৩৪ বছর বয়সী এই কবাডি প্লেয়ার। অসময়ে চলে যাওয়া বিনোদ রেখে গেলেন স্ত্রী শিবগামি এবং দুই পুত্র সন্তোষ ও কালাইয়ারাসনকে। এক প্লেয়ারের এমন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রীড়া মহল। শোক প্রকাশ করেছেন সকলেই।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত মাসে ছে তামিলনাড়ুর সালেম জেলার মন্নাদিকুপম গ্রামে কবাডি খেলার সময় কোর্টেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছিলেন আরেক কবাডি প্লেয়ার বিমল রাজ। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল সেখানে দেখা গিয়েছিল কবাডির ম্য়াচ চলছিল। সেখানে অপর দলের কোর্টে দম দিতে বা রেইডে গিয়েছিলেন বিমলরাজ। সেই সময় প্রচিপক্ষরে এক খেলোয়ার তাকে ধরতে আসলে লাফ মারেন তিনি। আর সেই লাফ দিয়ে যখন মাটিতে পড়ে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়ার তাকে জাপটে ধরে। সেই খেলোয়ার ছেড়ে দেওয়ার পর উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন বিমলরাজ। কিন্তু দাঁড়াতে গিয়ে ফের পড়ে যান। খেলার মাঠে যখন বিমলরাজের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন বিপক্ষ দলের কিছু খেলোয়াড় তাঁর সমস্যা জানতে কাছে ছুটে আসেন। তাঁকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন। সেখানেই সব শেষ। লুটিয়ে পড়েন তিনি। পড়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।