পরিবেশ রক্ষায় জাপানের নজির, ফেলা দেওয়া জিনিসে টোকিও অলিম্পিকের মেডেল

  • পরিবেশ রক্ষায় পথ দেখাল জাপান
  • ফেলে দেওয়া সামগ্রী থেকে তৈরি হবে অলিম্পিকের মেডেল
  • প্যারা অলিম্পিকের সমস্ত মেডেলও তৈরি একই পদ্ধতিতে
  • ব্রাজিল অলিম্পিকেও রিসাইকেল্ড সামগ্রী ব্যাবহার হয়েছিল

উন্মোচিত হল ২০২০ সালের  টোকিও অলিম্পিকের  মেডেল। মেডেলগুলির বিশেষত্ব হল এগুলি ফেলে দেওয়া বিভিন্ন সামগ্রী থেকে তৈরি করা হয়েছে। মূলত পরিত্যক্ত ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী যেমন মোবাইল ফোন, কম্পিউটার  ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মেডেলগুলি ডিজাইন করেছেন জাপানী শিল্পী জুনিচি কাওয়ানিশি। ২০২০ টোকিও গ্রীষ্মকালীন এবং প্যারাওলিম্পিকের ৫০০০ মেডেলই এই  রিসাইকেল করা ধাতু দিয়ে তৈরি। 

অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথমবার এই ধরনের মেডেল ব্যাবহার হতে চলেছে। সোনার মেডেলগুলি রুপোর ওপর ৬ গ্রাম  সোনার পাত দিয়ে মোড়া থাকবে। রুপোর মেডেল গুলি সম্পূর্ণভাবেই রুপো দিয়ে তৈরি। এবং ব্রোঞ্জের মেডেলগুলিতে ৯৫ শতাংশ তামা এবং ৫ শতাংশ জিঙ্ক থাকবে বলে জানা গিয়েছে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনের মত ইলেক্ট্রনিক পণ্যে অল্প মাত্রায় সোনা এবং অন্যান্য ধাতু থাকে। কিন্তু একবার ব্যাবহার করে ফেলে দেওয়ার ফলে যেমন ধাতুগুলি নষ্ট হয়, তেমনই পরিবেশের ওপরেও চাপ বাড়ে। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই অলিম্পিকের আয়োজক কমিটি ঠিক করে এবারের মেডেলগুলি ফেলে দেওয়া মোবাইল ল্যাপটপ ইত্যাদি থেকে তৈরি করা হবে। তারা হিসেব কষে দেখেন এতে একদিকে যেমন খরচ কম পড়বে, তেমনই পরিবেশ বাঁচানোর জোড়াল বার্তাও দেওয়া যাবে সারা বিশ্বের কাছে।

Latest Videos

২বছর ধরে  চলেছে ২০২০ টোকিও মেডেল প্রকল্প। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল যতবেশি সম্ভব ফেলে দেওয়া ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী জোগাড় করা। জাপানের সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। আরজি-তে বলা হয়েছিল খারাপ হয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীগুলিকে দান করার জন্য। আবেদনে বিপুল সাড়া পরে জাপান জুড়ে। দুই বছর পরে দেখা যায় প্রায় ৭৮০০০ মেট্রিক টন ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য পদার্থ জমা পড়েছে তাঁদের তহবিলে!  যার মধ্যে রয়েছে ৬০ লক্ষ্যরও বেশি মোবাইল ফোন । এই বিপুল পরিমাণ ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী গলিয়ে ৩২ কিলো সোনা এবং ৩.৫ টন রুপো তাঁরা সংগ্রহ করেন। এছাড়াও ২.২ টন ব্রোঞ্জও সংগ্রহ  করা  সম্ভব হয়। এই বিপুল পরিমাণ রিসাইকেল্ড ধাতু থেকেই এবারের অলিম্পিকের এবং প্যারাওলিম্পিকের সমস্ত মেডেল তৈরি করা হয়েছে।    

এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম প্রধান সমস্যা বিপুল পরিমাণে জমা হতে থাকা প্ল্যাস্টিক এবং ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য পদার্থ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই  একবার ব্যাবহারের পরেই এগুলিকে ফেলে দেওয়া হয় রিসাইকেল না করে। পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, এখনই বিকল্পের সন্ধান না করলে  এই বর্জ্য পদার্থের চাপে আগামী দিনে দিনে পৃথিবী কতটা বাসযোগ্য থাকবে তা গভীর চিন্তার বিষয়। সমস্যার সমাধানে জাপানের এই ভূমিকা নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখাবে সারা বিশ্বের পরিবেশ সচেতন মানুষকে। টোকিও অলিম্পিকে প্রথম বার নয়, এর আগে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ফুটবল  বিশ্বকাপেও খেলোয়াড়দের জার্সিও রিসাইকেল করা প্ল্যাস্টিকের তন্তু দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকেও রিসাইকেল করা বিভিন্ন জিনিস ব্যাবহার করা  হয়েছিল।   
  

Share this article
click me!

Latest Videos

গোটা ভারতবর্ষে কে রোহিঙ্গাদের সাপ্লাই দিচ্ছে! শুভেন্দুর উত্তরে চমকে উঠবেন | Suvendu Adhikari
ভাটপাড়ায় প্রোমোটারের 'দাদাগিরি', আতঙ্কে জমির মালিক, কি বলছে পুরসভা! দেখুন | Bhatpara News
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
'আমি মারা গেলে আমার যেন স্ট্যাচু না হয়' দলের উদ্দেশ্যে বার্তা মমতার
Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি