
অযোধ্যার রাম মন্দিরকে লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা করার অভিযোগে সন্দেহভাজন জঙ্গি আবদুল রহমানের গ্রেপ্তারিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার গুজরাট এটিএস হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এই সময় তার কাছ থেকে দুটি হ্যান্ড গ্রেনেডও উদ্ধার করা হয়। জানা যাচ্ছে, সে ফরিদাবাদ থেকে আরও এগিয়ে যাওয়ার ছিল, কিন্তু সময় থাকতেই নিরাপত্তা সংস্থা তাকে ধরে ফেলে।
সূত্রের খবর, আবদুল রহমান পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন আইএসআই-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং সে রাম মন্দিরের রেইকিও করেছিল। শুধু তাই নয়, সে আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট (AQIS)-এরও সদস্য ছিল। তার জঙ্গি নেটওয়ার্কে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি আবু সুফিয়ানও ছিল, যার নির্দেশে তাকে অযোধ্যায় হামলার পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছিল।
গ্রেপ্তারের আগে জঙ্গি আবদুল রহমানের পরিকল্পনা কী ছিল?
জঙ্গি আবদুল রহমানের ৪ মার্চ ২০২৫ সালে অযোধ্যায় পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু ২ মার্চেই গুজরাট এটিএস এবং হরিয়ানা এসটিএফের দল তাকে ধরে ফেলে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল পাওয়া যায়, যাতে ধর্মীয় স্থানের রেকি ভিডিও এবং উস্কানিমূলক সামগ্রী পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আবদুল রহমান দেশি তমঞ্চা তৈরিতেও দক্ষ ছিল। তার কাছ থেকে ১ মার্চ ২০২৫ সালের অযোধ্যা ক্যান্ট থেকে দিল্লি জংশনের ট্রেনের টিকিটও উদ্ধার হয়েছে, যা থেকে তার কর্মকাণ্ডের সন্ধান পাওয়া যায়।
কীভাবে উগ্রপন্থী হল আবদুল রহমান?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আবদুল রহমান সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় কন্টেন্ট দেখে উগ্রপন্থী হয়ে ওঠে এবং জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগে আসে। সে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে উগ্রপন্থী মতাদর্শের দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং এরপর জঙ্গি নেটওয়ার্কে যোগ দেয়। গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি আবদুল রহমানের বয়স ১৯ বছর এবং সে অযোধ্যারই বাসিন্দা। সে ফৈজাবাদ থেকে ফরিদাবাদের ট্রেন ধরেছিল, যেখানে হ্যান্ডলার তাকে গ্রেনেড দিয়েছিল।
এরপর তাকে অযোধ্যায় ফিরে তার মিশন সম্পন্ন করার কথা ছিল, কিন্তু নিরাপত্তা সংস্থা তার ইচ্ছার পথে বাধা সৃষ্টি করে। এখন এটিএস, এসটিএফ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা আবু সুফিয়ান সহ পুরো মডিউলের তদন্তে নেমেছে। তারা এটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে আবদুল রহমানের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত ছিল এবং এই ষড়যন্ত্রে কে তাকে সাহায্য করেছিল।