উন্নত উত্তরপ্রদেশ ২০৪৭: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশকে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা। দক্ষ যুব, পাকা ঘর, শক্তিশালী গ্রামীণ অবকাঠামো এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধিই মূল লক্ষ্য।
“দক্ষ যুব আর উন্নত গ্রামই সমৃদ্ধ উত্তরপ্রদেশের পতাকা বহন করবে।” মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশকে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করে ‘উন্নত উত্তরপ্রদেশ’ গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যে প্রতিটি পরিবারকে পাকা ঘর, প্রতিটি গ্রামে প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা এবং প্রতিটি যুবককে দক্ষ করে তোলার অঙ্গীকার।
২০১৭ এর আগে কেমন ছিল অবস্থা?
২০১৭ এর আগে রাজ্যের শিক্ষা ও গ্রামীণ ব্যবস্থা বেশ খারাপ অবস্থায় ছিল।
উচ্চশিক্ষা ছিল না কর্মমুখী।
মাত্র ৫২৬ টি পলিটেকনিক এবং ২৬৪২ টি আইটিআই চালু ছিল।
গবেষণা ও উদ্ভাবনের অবকাঠামো ছিল দুর্বল।
গ্রামে পাকা বাড়ি, রাস্তা, বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের মতো সুযোগ-সুবিধার ব্যাপক অভাব ছিল।
পঞ্চায়েতের সম্পদ ও কার্যক্ষমতার অভাব ছিল, যার ফলে যোজনাগুলি সফল হত না।
শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশের নতুন দিশা
যোগী সরকার শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশকে বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক করেছে।
“এক মন্ডল, এক বিশ্ববিদ্যালয়” নীতি অনুযায়ী ২৪ টি রাজ্য এবং ৪৯ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে।
৩৩১০ টি আইটিআই এবং ২১৩৮ টি পলিটেকনিক যুবদের সুযোগ করে দিচ্ছে।
টাটা টেকনোলজিসের সহযোগিতায় ১৫০ টির বেশি আইটিআই আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত।
৪৯.৮৬ লক্ষ ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোন বিতরণ করা হয়েছে, যা ছাত্রদের ডিজিটাল যুগের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
৯৫ টির বেশি প্রতিষ্ঠান NAAC मान्यতা এবং ৬৭ টি জাতীয় র্যাঙ্কিং-এ স্থান পেয়েছে।
গ্রামীণ উন্নয়নে বিপ্লব
সরকার গ্রামকে আধুনিক করতে ঐতিহাসিক কাজ করেছে।
এখন পর্যন্ত ৫৬.৯০ লক্ষ পরিবার পাকা ঘর পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণের আওতায় ৩৬.৫৭ লক্ষ ঘর মঞ্জুর এবং ৩৬.৩৪ লক্ষ সম্পন্ন হয়েছে।
২৫ হাজার কিমি রাস্তা প্রশস্ত ও মজবুত করা হয়েছে এবং ১৩৮৫ কিমি নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে।
১৬৫ টি ব্লক मुख्यालय দ্বি-লেন রাস্তার সঙ্গে যুক্ত।
অমৃত সরোবর এবং অটল ভূ-জল যোজনা জল সুরক্ষাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
২৪,৪৮৯ টি পঞ্চায়েত ভবন এবং প্রতিটি পঞ্চায়েতে সচিবালয় তৈরি হয়েছে।
‘উন্নত উত্তরপ্রদেশ ২০৪৭’ অভিযান
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্পষ্ট করে বলেছেন যে এই ভিশন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘উন্নত ভারত ২০৪৭’ অভিযানের অংশ।
২০৩০ সালের মধ্যে গ্রামগুলি উৎপাদন, উৎপাদনশীলতা এবং রপ্তানিতে অগ্রণী হবে।
বীজ পার্ক, উন্নত বীজ, ফসল বৈচিত্র্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে।
কৃষি গবেষণা এবং উদ্ভাবন কেন্দ্র স্থাপিত হবে।
দুগ্ধ এবং ডিম উৎপাদনে উত্তরপ্রদেশ বিশ্ব स्तরে অগ্রণী হবে।
প্রতিটি পরিবার পাকা বাড়ি, আবর্জনা ব্যবস্থাপনার আধুনিক ব্যবস্থা এবং সামাজিক সুরক্ষা পাবে।
পূর্বাঞ্চল এবং বুন্দেলখণ্ডকে পশ্চিমাঞ্চলের মতো উন্নয়ন মডেল বানানো হবে।
৬ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দিকে
সরকারের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতিকে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দেওয়া, যা ভারতের আনুমানিক জিডিপির ২০% হবে। এর জন্য:
নিয়মিত ১৬% উন্নয়ন হার বজায় রাখতে হবে।
দক্ষ কর্মী বিশ্বব্যাপী শিল্পকে গতি দেবে।
গ্রামীণ অবকাঠামো এবং কৃষি উৎপাদনশীলতা আয় ও ব্যয় বাড়াবে।