
প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ ২০২৫: মহাকুম্ভের পবিত্র সমাগমে এক অপূর্ব ও দিব্য দৃশ্য দেখা গেল, যখন পরমার্থ ত্রিবেণী পুষ্পে সঙ্কটমোচন হনুমানজীর শ্রীবিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা বিধি-বিধানসম্পন্ন হল। এই ধর্মীয় আয়োজনে পূজনীয় সন্তদের আশীর্বাদ এবং বেদমন্ত্রের ধ্বনিতে श्रद्धालুদের মন ভরে গেল, আর শঙ্খ-ঘণ্টার ধ্বনি ও ভক্তদের আস্থায় সমগ্র পরিবেশ পবিত্র হয়ে উঠল।
স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী, যিনি এই আয়োজনের মুখ্য আচার্য ছিলেন, তিনি আশীর্বচনে বলেন, "মহাকুম্ভের এই পবিত্র অবসরে সঙ্কটমোচন হনুমানজীর প্রাণপ্রতিষ্ঠার ফলে এই ভূমিতে নতুন শক্তির সঞ্চার হবে।" পূজনীয় সন্তদের আশীর্বাদ এই কার্যক্রমকে আরও পুণ্যময় করে তুলেছে এবং শ্রদ্ধালুদের হৃদয়ে ভক্তির উল্লাস ভরে দিয়েছে।
স্বামী চিদানন্দ সরস্বতীজি পরমার্থ ত্রিবেণী পুষ্পকে ভারতের ঐশ্বর্যময় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের শক্তিশালী প্রতীক বলে বর্ণনা করেছেন। এখানে শ্রদ্ধালুরা কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণই করেন না, ভারতীয় সংস্কৃতি, আস্থা এবং জীবনযাত্রার প্রকৃত দর্শনও লাভ করেন।
এই আয়োজন সনাতন সংস্কৃতির অমূল্য মূল্যবোধ এবং ভারতীয় ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। মহাকুম্ভে আগত লক্ষ লক্ষ শ্রদ্ধালুর জন্য এই আয়োজন এক আধ্যাত্মিক প্রেরণা এবং ভক্তির উৎস হয়ে উঠেছে। এই অনন্য আয়োজনে যেখানে একদিকে ভক্তরা হনুমানজীর শ্রীবিগ্রহের পূজা-অর্চনায় মগ্ন ছিলেন, অন্যদিকে সমগ্র পরিবেশে ভক্তি ও শ্রদ্ধার এক অপূর্ব সম্মিলন লক্ষ্য করা গেছে।