
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫-এ মঙ্গলবার-বুধবার মধ্যরাত ১-২টার মধ্যে ভিড়ের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। এর ফলে ১5 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও মৃতের সংখ্যার সরকারি নিশ্চিতকরণ হয়নি। এটি প্রথমবার নয় যে কুম্ভমেলায় বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৫৪ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কুম্ভমেলায় ৫টি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
১৯৫৪: প্রাচীনকাল থেকেই কুম্ভমেলা হয়ে আসছে। স্বাধীনতার পর প্রথম কুম্ভমেলা প্রয়াগরাজে ১৯৫৪ সালে হয়েছিল। ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪ সালে মৌনী অমাবস্যার দিনে বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রী ভিড় করেন, যার ফলে ভিড়ের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়। অনেকে নদীতে ডুবে মারা যান।
১৯৮৬: হরিদ্বারে ১৯৮৬ সালে কুম্ভমেলা হয়েছিল। এই মেলায় ভিড়ের মধ্যে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়। উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর সিং সহ বেশ কয়েকজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংসদ হরিদ্বারে পৌঁছান। নিরাপত্তারক্ষীরা সাধারণ মানুষকে নদীর ধারে যেতে বাধা দেয়। এর ফলে ভিড় বেকায়দায় পরিণত হয় এবং জীবনহানির ঘটনা ঘটে।
২০০৩: মহারাষ্ট্রের নাসিকে ২০০৩ সালে কুম্ভমেলা হয়েছিল। গোদাবরী নদীতে পবিত্র স্নানের জন্য হাজার হাজার তীর্থযাত্রী জড়ো হয়েছিলেন। এই সময় ভিড়ের মধ্যে মহিলা সহ কমপক্ষে ৩৯ জন মারা যান। ১০০-র বেশি তীর্থযাত্রী আহত হন।
২০১৩: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে কুম্ভমেলার সময় একটি পায়ে হাঁটার সেতু ভেঙে পড়লে ইলাহাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে ভিড়ের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। এর ফলে ৪২ জনের মৃত্যু হয়। ৪৫ জন আহত হন।
২০২৫: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভ মেলা হয়েছে। এই সময় কোটি কোটি মানুষ পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গমে (গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর মিলনস্থল) স্নান করতে আসছেন। মৌনী অমাবস্যার দিনে দ্বিতীয় অমৃত স্নান ছিল। এর জন্য ৮-১০ কোটি মানুষ মহাকুম্ভ মেলায় পৌঁছেছিলেন। মঙ্গলবার-বুধবার মধ্যরাত প্রায় ১-২টার সময় ভিড়ের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। এর ফলে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।