
লখনউ। যোগী সরকার আগামী বছর রাজ্যের তরুণ-তরুণীদের জন্য একটি বড় উপহার নিয়ে আসছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্প্রতি একটি উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে সমস্ত বিভাগ থেকে সরকারি চাকরির শূন্যপদের বিবরণ চেয়েছিলেন। এর উদ্দেশ্য হল শূন্যপদে সময়মতো নিয়োগ নিশ্চিত করা। পর্যালোচনার পর, মুখ্যমন্ত্রী ২০২৬ সালে রাজ্যের তরুণ-তরুণীদের দেড় লাখ সরকারি চাকরি দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। এই নিয়োগগুলি পুলিশ, শিক্ষা, রাজস্ব, স্বাস্থ্য, আবাসন উন্নয়ন সহ বিভিন্ন বিভাগে করা হবে।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে পুলিশ ও শিক্ষা বিভাগে। উভয় বিভাগেই প্রায় ৫০-৫০ হাজার পদে নিয়োগ করা হবে। এছাড়া রাজস্ব, কারাগার, স্বাস্থ্য, শিশু বিকাশ পুষ্টি এবং আবাসন উন্নয়ন বিভাগেও বড় আকারে নিয়োগ হবে। এই নিয়োগের মাধ্যমে ২০২৬ সালে যোগী সরকারের নামে সবচেয়ে বেশি সরকারি চাকরি দেওয়ার রেকর্ডও নথিভুক্ত হবে।
যোগী সরকার গত সাড়ে আট বছরে রাজ্যের তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন বিভাগে ৮.৫ লাখের বেশি সরকারি চাকরি দিয়েছে। এই সমস্ত নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষভাবে হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারগুলির সময় নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠত, কিন্তু যোগী সরকারের নীতি তরুণদের আস্থা মজবুত করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভাগওয়ারি শূন্যপদের অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন। সূত্র অনুযায়ী, ২০২৬ সালে প্রস্তাবিত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যোগী সরকার দশ বছরে দশ লাখ সরকারি চাকরি দেওয়া রাজ্যের প্রথম সরকার হয়ে উঠবে। অনেক বিভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, আবার কিছু বিভাগে বিজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ইচ্ছা অনুযায়ী, পুলিশ বিভাগে এখন পর্যন্ত ২.১৯ লাখ পদে নিয়োগ হয়েছে। ২০২৬ সালে পুলিশ বিভাগ প্রায় ৫০ হাজার নতুন পদে নিয়োগ করবে। এর মধ্যে ৩০ হাজার কনস্টেবল, ৫ হাজার সাব-ইন্সপেক্টর এবং ১৫ হাজার অন্যান্য পদ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
শিক্ষা বিভাগের সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ২০২৬ সালে প্রায় ৫০ হাজার পদে নিয়োগ করা হবে। এই নিয়োগগুলি সহকারী শিক্ষক, প্রভাষক, লেকচারার এবং অধ্যক্ষের মতো পদে হবে। এর ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি তরুণদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।
রাজস্ব বিভাগে প্রায় ২০ হাজার পদে নিয়োগ করা হবে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকবে লেখপাল পদ। এছাড়া স্বাস্থ্য, আবাসন উন্নয়ন, কারাগার, শিশু বিকাশ পুষ্টি সহ অন্যান্য বিভাগেও প্রায় ৩০ হাজার পদে নিয়োগের প্রস্তাব রয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২৬ সালে নতুন নিয়োগের সংখ্যা দেড় লাখের বেশি হবে।