ইনস্টাগ্রাম রিলস এখন অনেকের আয়ের মাধ্যম। রিলস থেকে আয়ের বিভিন্ন উপায় রয়েছে যেমন ব্যবসা বা প্রোডাক্ট প্রচার, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ এবং ফেসবুকের মাধ্যমে অ্যাড রেভিনিউ।
ইনস্টাগ্রাম এক সময় ছিল শুধু ছবি শেয়ার করার প্ল্যাটফর্ম। এই ছবি শেয়ারিং অ্যাপ এখন অধিকাংশের আয়ের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। জানেন কি ইনস্টাগ্রাম রিলসে ১ লাখের বেশি ভিউয়ার্স হলে কত টাকা আয় হয়? শুনলে চমকে উঠবেন।
ইনস্টাগ্রাম রিলসে ইন ভিডিও অ্যাড দেওয়া যায় না। অর্থাৎ অ্যাড না থাকলে কোম্পানি এটিকে ইন ভিডিও অ্যাডের জন্য মনিটাইজও করে না। তাই টাকা অ্যাড খেরে আসে না।
রিলসের সাহায্যে আপনি আপনার ব্যবসা বা প্রোডাক্ট প্রচার করতে পারেন। এর দ্বারা আয় হবে। তেমনই আপনি লিঙ্ক দিয়ে আয় করতে পারেন।
আপনার পোস্ট করা ভিডিওর কমেন্টে কোনও প্রোডাক্টের লিঙ্ক দিয়ে দিন। তা দিয়ে কেউ জিনিস কিনসে আপনি কমিশন পাবেন।
বড় ক্রিয়েটররা ব্র্যান্ডের পার্টনারশিপ করে আয় করে। রিলের মাধ্যমে ওই ব্র্যান্ডের জিনিসের প্রোমোশন করে আয় করতে পারেন।
ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। রিলে অ্যাড যোগ করার সুযোগ দেয়। সেই অ্যাড থেকে টাকা পেতে পারেন। তবে, কিছু শর্ত মানতে হয়।
ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার ক্যাটেগরি-ক সম্পর্কে জেনে নিন।
২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ফলোয়ার্স- মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার
৬০ হাজার থেকে ১.৬ লক্ষ ফলোয়ার্স- ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার
৩ থেকে ৫ লক্ষ ফলোয়ার্স হলে মেগা ইনফ্লুয়েন্সার
৭ থেকে ১৫ লক্ষ ফলোয়ার্স হলে সেলিব্রিটি ইনফ্লুয়েন্সার।
এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সারদের আয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তেমনই মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সারদের আয় ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সারদের আয় ৬০ থেকে ৬৮ হাজার টাকা। মেগা ও সেলিব্রিটি ইনফ্লুয়েন্সারদের আয় তার অধিক।
তবে, প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে এই আয়ের অঙ্ক। এই আয়ের অঙ্ক নিয়ে আছে দ্বিমত। তবে, ইনস্টাগ্রামে যে রিল থেকে মোটা আয় হয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সব মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু রিল বানিয়ে হাজার হাজার টাকা আয় করছে একাধিক ব্যক্তি।