জ্বালানির দাম উর্ধ্বমুখী। গাড়িতে গ্রিন হাইড্রোজেনের ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন নিতিন গডকড়ী। নিকাশির জল আর কঠিন বর্জ্যের ব্যবহারে হরিৎ হাইড্রোজেন উৎপাদন করা হবে।
জ্বালানির দামে পুরোপুরি স্বস্তি পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। পেট্রল-ডিজেলের(Fuel Price) ওপর আবগারি শুল্ক(Excise Duty) কমার ফলে জ্বালানির জ্বালা কিছুটা কমেছে ঠিকই, তবুও বিভিন্ন স্তরে সমালোচিত হচ্ছে জ্বালানির এই বর্ধিত মূল্য(Fuel Price Hike)। জ্বালানির দামের এই উর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখে বিভিন্ন গাড়ি কোম্পানি বাজারে ইলেকট্রিক স্কুটার আনার পরিকল্পনা করেছে। আগামী বছরের মধ্যে কয়েকটি ই-স্কুটার চলেও আসবে ভারতীয় বাজারে। জ্বালানির অতিরিক্ত দামের জেরে এবার নতুনত্ব কিছু ভাবতে চাইছেন কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)। বৃহস্পতিবার আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে ষষ্ঠ জাতীয় শীর্ষ সম্মেলনে(sixth National Summit on Financial Inclusion) তিনি জানান, ভারতে বাস, লরি এবং গাড়ি চালানোর জন্য গ্রিন হাইড্রোজেনের(Green Hydrogen) ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন। গডকরী বলেছেন, তিনি শহরে নিকাশির জল (Sewages water) আর কঠিন বর্জ্যের ব্যবহার করে হরিৎ হাইড্রোজেন উৎপাদন করারও একটা পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী(Nitin Gadkari) আশা করছেন, খুব শীঘ্রই দিল্লির রাস্তায় গ্রিন হাইড্রোজেনে চালিত গাড়ি(Green Hydrogen car) চালাতে সক্ষম হবেন। সম্ভবত নতুন বছরের প্রথম দিনেই অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি(Green Hydrogen car) চালানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করবেন। আর এই উদ্যোগে সফল হতে ইতিমধ্যেই তিনি একটি পাইলট প্রোজেক্ট গাড়িও(Pilot Projet Car) কিনে ফেলেছেন। আর ফরিদাবাদের একটি অয়েল রিসার্চ সেন্টার থেকে গ্রিন হাইড্রোজেনও(Green Hydrogen) নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে ষষ্ঠ জাতীয় শীর্ষ সম্মেলনে বলেন,খুব শীঘ্রই হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি নিয়ে তিনি বেড়োবেন। কেন্দ্রীয় স্তরের কোনও মন্ত্রী যখন এই ধরনের গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেড়বেন তখন স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ হাইড্রোজেন চালিত গাড়ির ওপর ভরসা রাখতে পারবে। গডকড়ী বলেছেন, আগামী দু-তিনের মধ্যেই একটি চুক্তিতে স্বাক্ষরকরবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানে নির্মাতাদের ১০০ শতাংশ বায়ো-এথেনালে চলা ইঞ্জিন তৈরি করার জন্য বলা হবে। তিনি আরও বলেন, দেশ বর্তমানে প্রত্যেক বছর ৪ লক্ষ কোটি টাকার পেট্রোল ডিজেল এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি করে। দেশ যদিএইভাবে নিজের খরচ বজায় রাখে তাহলে এর আমদানির বিল আগামী পাঁচ বছরে বেড়ে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সরকার গ্রিন হাইড্রোজেনে চালিত সার্বজনিক পরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সেই দিন খুব বেশী দূরে নয় যখন গ্রিন হাইড্রোজেনে চলবে যানবাহন ।
Oppo E-Scooter-মাত্র ৬০ হাজার টাকায় পেয়ে যান ইলেকট্রিক স্কুটার,২০২৩ সালে ওপো নিয়ে আসছে ই-স্কুটার
Diwali Bonanza by Ather- Ather-র দিওয়ালি অফার,বিনামূল্যে ৬ মাসের জন্য কানেকটিভি ফিচার
প্রসঙ্গত দীপাবলির উৎসবের মরশুমে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পেট্রোল ডিজেলের উপর এক্সাইজ ডিউটি বা আবগারি শুল্ক কম করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও দেশের বেশকিছু শহরে পেট্রোল ডিজেলের দাম সেঞ্চুরির ঘর থেকে নামেনি। পেট্রোল ডিজেলের এক্সাইজ ডিউটি কম করার পরও জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সমালোচিত হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেই জন্যই গাড়ি চালানোর জন্য পেট্রল-ডিজেলের ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য ভাবনা শুরু করা হয়েছে। এথনাল ব্লেন্ডিং (Ethanol Blending)-এর কাজ শুরু হয়েছে। এখন সরকার দেশে দ্রুতই ফ্লেক্স ফুয়েল (Flex Fuel) পেশ করার চেষ্টা করে চলেছে। বলা হচ্ছে এতে সাধারণ মানুষ দামি পেট্রোল ডিজেল থেকে মুক্তি পাবে। গড়করি জানিয়েছেন, তিনি টয়োটা মোটর কর্পোরেশন, সুজুকি হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে আগামী দিনে তাদের গাড়িতে ফ্লেক্স ইঞ্জিন ব্যবহার করবে। সেই সঙ্গে বলেন,এই পদ্ধতিতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিও সাধন হবে।