
Starlink India: ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স ভারতে তাদের স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে চলেছে। ভারতে স্টারলিঙ্ক লঞ্চের আগে, স্পেসএক্স এবার লিঙ্কডইনে কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদনপত্রও চেয়েছে।
স্টারলিঙ্ক ফিন্যান্স এবং অ্যাকাউন্টিং পদে লোক নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পেমেন্ট ম্যানেজার, অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজার, সিনিয়র ট্রেজারি অ্যানালিস্ট এবং ট্যাক্স ম্যানেজারের মতো পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে। স্টারলিঙ্ক ইন্ডিয়ার অপারেশনাল হাব বেঙ্গালুরুতে কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। কর্মীদের জন্য রিমোট বা হাইব্রিড মোডে কাজ করার কোনো সুবিধা থাকবে না বলে খবর।
স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্ক প্রকল্পের লক্ষ্য হল, কৃত্রিম উপগ্রহ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম ল্যাটেন্সির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইড করা। সেইজন্য, ইতিমধ্যেই দশ হাজারেরও বেশি স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক হল বিশ্বের বৃহত্তম স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক। আশা করা হচ্ছে যে, ২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের শুরুতে ভারতে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাবে।
স্টারলিঙ্ক ইন্ডিয়ার কর্তারা ভারতে পরিষেবা শুরু করার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চালাচ্ছেন। স্পেসএক্স এই মুহূর্তে মুম্বাই, চেন্নাই এবং নয়ডায় গেটওয়ে স্থাপনের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে। ভবিষ্যতে এই গেটওয়ের সংখ্যা ৯-১০টি করার পরিকল্পনাও রয়েছে কোম্পানির।
ভারতে স্টারলিঙ্কের হাই-স্পিড ব্রডব্যান্ড স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য প্রতি মাসে কত খরচ হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মাসিক ফি ছাড়াও, গ্রাহকদের একটি স্টারলিঙ্ক কিটও কিনতে হবে। যার মধ্যে একটি ওয়াই-ফাই রাউটার এবং একটি স্যাটেলাইট ডিশ থাকবে। তবে সেগুলির দাম কত হবে? তা পরিষ্কার নয়। আমেরিকায়, স্ট্যান্ডার্ড স্টারলিঙ্কের দাম ৩৪৯ ডলার, যা প্রায় ৩১,০০০ টাকার সমান।
অন্যদিকে, স্টারলিঙ্ক মিনি কিটের দাম ৫৯৯ ডলার। অর্থাৎ, প্রায় ৫৩,০০০ টাকা, যা আপনাকে ভ্রমণের সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়। ভারতে আরও বেশি গ্রাহক টানতে স্টারলিঙ্ক আন্তর্জাতিক বাজারের থেকে আলাদা প্যাকেজ আনতে পারে।
আশা করা যায়, স্টারলিঙ্ক ভারতে গ্রাহকদের থেকে কত টাকা নেবে, সে বিষয়ে শীঘ্রই স্পষ্ট একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।