Digital Arrest: ডিজিটাল গ্রেফতরি কী? কী করে ভয়ঙ্কর এই আর্থিক প্রচারণা চক্র থেকে বাঁচবেন, দেখুন ছবিতে
সাম্প্রতিককালে ডিজিটাল অ্যারেস্ট বা ডিজিটাল গ্রেফতরি (digital arrest) বড় কেলেঙ্কারির আকার ধারন করেছে। যা নিয়ে মন কি বাত অনুষ্ঠানে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কী এই ডিজিটাল অ্যারেস্ট। কী করেই বা বাঁচবেন এরথেকে।
Saborni Mitra | Published : Oct 28, 2024 2:53 PM IST
আর্থিক প্রতারণা
সাইবার ক্রাইম। আর্থিক কেলেঙ্করি। কম্পিউটারের আড়াল থেকেই দুষ্কৃতীরা লুঠ করে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অনেক সময় সন্ধান পাওয়া যায় অপরাধীদের। অনেক সময় পাওয়া যায় না।
অনলাইন স্ক্যাম
কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম অফ ইন্ডিয়া (CERT-In) পদ্ধতির একটি তালিকা প্রদান করেছে যার মাধ্যমে এই প্রতারকরা ডিজিটাল অ্যারেস্ট স্ক্যাম সহ অনলাইন স্ক্যামগুলি চালায়।
ডিজিটাল গ্রেফতার
ডিজিটাল গ্রেফতারি হল একটি অনলাইন স্ক্যাম। যা সাধারণ মানুষের কষ্টের টাকা প্রতারিত করে। স্ক্যামাররা সংশ্লিষ্টদের ভয় দেখায় ও তদের অবৈধ কার্যকলাপের জন্য মিথ্যা অভিযোগ করে। আর ব্ল্যাকমেল করে টাকা দাবি করে।
কীভাবে কাজ করে ডিজিটাল গ্রেফতার
ডিজিটাল গ্রেপ্তার কেলেঙ্কারিতে, অপরাধীরা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, যেমন সিবিআই এজেন্ট, আয়কর কর্মকর্তা বা শুল্ক এজেন্ট হিসাবে পরিচয় দেয় এবং ফোন কলের মাধ্যমে ভিকটিমদের সাথে যোগাযোগ শুরু করে।
কীভাবে কাজ করে ডিজিটাল গ্রেফতার
পরবর্তীকালে, তারা অনুরোধ করে যে ভুক্তভোগীরা হোয়াটসঅ্যাপ এবং স্কাইপের মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভিডিও যোগাযোগে স্যুইচ করুন। স্ক্যামাররা তখন আর্থিক অসদাচরণ, কর ফাঁকি বা অন্যান্য আইনি লঙ্ঘনের মতো বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে ভুক্তভোগীদের ডিজিটাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে হুমকি দেয়।
এভাবে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়
কিছু কিছু ক্ষেত্রে, এই প্রতারকরা ভিকটিমদের আরও বোঝানোর জন্য একটি থানার মতো সেট-আপ তৈরি করে । সংশ্লিষ্টদের তদন্তে সহয্য করতে জোর করে। অপরাধীদের নজর থাকে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা UPI আইডি। একবার সেগুলি দিয়ে দিলেই বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায় অপরাধীরা। তাদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন হয়ে যায়।
কীভাবে বাঁচবেন
এজাতীয় প্রতারণার হাত থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হল সর্বদা সতর্ক থাকা। ব্যক্তিগত বিস্তারিত তথ্য, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য কখনও কাউকে দেবেন না।
সমস্যা হলে ব্যাঙ্কে যান
আপনি যদি ফোনে সংশ্লিষ্টদের সমস্যার কথা বলেন তাহলে তারা আপনার ওপর কোনও চাপ দেবে। অর্থপ্রগান বা ব্যাঙ্কিয়ের বিশদ জানতে চাইলে ফোনে কখনই তার উত্তর দেবেন না।
চাপের কাছে নত হবেন না
সাইবার অপরাধীদের চাপের কাছে কখনই মাথা নিচু করবেন না। এজাতীয় ফোন পেলেই দ্রুত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
সন্দেহ
ফোন নিয়ে সন্দেহ হলেও দ্রুত ব্যাঙ্ক বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সাইবার ক্রাইম কর্তৃপক্ষ বা পুলিশেও যেতে পারেন।
সরকারি সংস্থা ব্যবহার করে না
সরকারি সংস্থাগুলি অফিসিয়াল যোগাযোগের জন্য WhatsApp বা Skype-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে না।
আপনি যদি ডিজিটাল গ্রেপ্তার কেলেঙ্কারির শিকার হন এবং অর্থ হারান তবে কী করবেন?
এমন পরিস্থিতি যদি হয় তাহলে দ্রুত ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করুন। ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে (cybercrime.gov.in) অভিযোগ দায়ের করুন। আপনার কাছে যা কিছু প্রমাণ আছে তা সবসময় রাখুন — কলের বিবরণ, লেনদেনের বিবরণ, বার্তা ইত্যাদি।