কলের জলে মিলল ভয়ঙ্কর মস্তিষ্ক-খাদক অ্যামিবা, বিপর্যয় ঘোষণা আট মার্কিন শহরে


টেক্সাসের আট শহরে বিপর্যয়

বন্ধ কলের জল ব্যবহার

সরবরাহের জলে মিলেছে মস্তিষ্ক-খাদক অ্যামিবা

এই সংক্রমমে বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।

amartya lahiri | Published : Sep 27, 2020 3:40 PM IST / Updated: Sep 27 2020, 09:11 PM IST

আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশের আটটি শহরে জারি করা হয়েছে বিপর্যয়। স্থানীয়দের বাসিন্দাদের ট্যাপ ওয়াটার অর্থাৎ পাইপে যে জল সরবরাহ করা হয়, সেই জল ব্যবহার না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ গণসরবরাহের সেই জলের মধ্যে একরকম মস্তিষ্ক-খাদক অ্যামিবা'র সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

শনিবার, টেক্সাসের এনভায়র্নমেন্টাল কোয়ালিটি কমিশনের কর্তারা হিউস্টন-এলাকার একটি শহর ছাড়া টেক্সাসের সব এলাকার বাসিন্দাদের কলের জল ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছেন। ব্রাজোস্পোর্ট ওয়াটার অথরিটি নামে একটি সংস্থা ওই প্রদেশে জল সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে। তাদের সাপ্লাই লাইনেই ন্যাগেলিরিয়া ফওলেরি নামে একটি মাইক্রোব পাওয়া গিয়েছে, যেটি শরীরে প্রবেশ করে মস্তিষ্কে গিয়ে, কুড়ে কুড়ে মস্তিস্ক খেয়ে ফেলে।

টেক্সাসের গভর্নরের অফিস, এনভায়র্নমেন্টাল কোয়ালিটি কমিশন এবং ব্রাজোস্পোর্ট ওয়াটার অথরিটি যৌথভাবে এই সমস্যাটি যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে কতদিনে তা করা হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জল সরবরাহ ব্যবস্থাটি থেকে সব জল পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা হবে। তারপর যতক্ষণ না পর্যন্ত জলের নমুনাগুলিতে পরীক্ষা করে সরবরাহ ব্যবস্থার জল ব্যবহারের জন্য নিরাপদ বলে নিশ্চিত না করা যাচ্ছে, ততক্ষণ জল না ব্যবহার করার পরামর্শ জারি থাকবে।

জীবানু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, 'ন্যাগেলিরিয়া ফওলেরি' অ্যামিবা সাধারণত ক্লোরিনবিহীন, অস্বাস্থ্যকর এবং খারাপভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা সুইমিং পুলের জলে, শিল্পক্ষেত্রের  উষ্ণ জলের স্টোরেজ ইউনিটগুলি পাওয়া যায়। মাটি, উষ্ণ হ্রদ এবং নদী থেকেও এই অ্যামিবা আসতে পারে।

সম্প্রতি জ্যাকসন শহরে ছয় বছরের একটি শিশু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তার মস্তিষ্কে এই অ্যামিবার উপস্তিতি পাওয়া যায়। এরপরই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং মার্কিন রোগ প্রতিরোধ কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা ওই শিশুটির বাড়ির কলের জলে অ্যামিবার সন্ধান পান। জ্যাকসন সিভিক সেন্টারের সামনের জলের ফোয়ারাতেও একি অ্যামিবার সন্ধান পাওয়া যায়।

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই সংক্রমণ বিরল, তবে মারাত্মক। সিডিসি-র তথ্য অনুসারে, ১৯৬২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই অ্যামিবা সংক্রমণে প্রায় ১৪৫ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র চারজন সংক্রমণের পরও বেঁচে গিয়েছিলেন। বাকি সবাই হার মেনেছিল মস্তিষ্ক-খাদক অ্যামিবা সংক্রমণের কাছে।

Share this article
click me!