আরও বাড়ল মার্কিন-চিন উত্তেজনা
হিউস্টনে চিনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দিল আমেরিকা
মঙ্গলবার রাতেই চিনা দূতাবাসে কিছু নথি পোড়ানো হচ্ছিল
কড়া ভাষায় এর জবাব দিয়েছে চিন
আচমকাই হিউস্টন শহরে অবস্থিত চিনা দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার এমনটাই দাবি করলেন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। তিনি জানিয়েছেন বেইজিং এই মার্কিন পদক্ষেপের নিন্দা করে এবং এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলে হুমকিও দিয়েছে চিনা কর্তৃপক্ষ।
এদিন এক সাংবাদিক বৈঠক করে ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই ওয়াশিংটন থেকে চিনকে জানানো হয়েছে যে হিউস্টন শহরে অবস্থিত চিনা দূতাবাসটি ৭২ ঘন্টার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। মঙ্গলবার রাতে হিউস্টনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল চিনা কনস্যুলেট চত্ত্বরে প্রচুর নথিপত্র পোড়ানো হচ্ছে। তারপর মার্কিন কর্তৃপক্ষেরর সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহার করেছেন, সব সহযোগিতা করেছেন চিনা কনসুলেট জেনারেল, এমনটাই দাবি করেছেন ওয়াং ওয়েনবিন।
চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর সম্পাদক হু জিজিন-ও এই খবরটি জানিয়ে বুধবার একটি টুইট করেছেন। তিনি মার্কিন মুলুকে চিনা কনস্যুলেট জেনারেল বন্ধের মার্কিন নির্দেশ-কে 'উন্মত্ত পদক্ষেপ' বলে অভিহিত করেছেন।
মঙ্গলবার রাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনের চিনা কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয়ে আগুন লাগার খবর পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ মন্ট্রোজ বুলেভার্ড ৩৪১৭ ঠিকানায় চিনা দূতাবাস প্রাঙ্গণ থেকে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিয়েছিলেন।
হিউস্টন পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকরা আগুন নেভাতে চিনা দূতাবাসে আসার পর, দেখা গিয়েছিল চিনা কনসুলেট জেনারেলের কার্যালয়ে প্রচুর পরিমাণে নথিপত্র পোড়ানো হচ্ছে। সেই ঘটনা নিয়ে ওই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। সেই সঙ্গে হঠাৎ রাত্রিবেলা চিনা রাষ্ট্রদূত কীসের নথিপত্র পোড়াচ্ছিলেন, তাই নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। এর কিছু পরেই আচমকা ট্রাম্প প্রশাসন দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিল।