জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে আমেরিকায়
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভ দমন করতে হমকি দিচ্ছেন
অন্যদিকে তাঁর ছোট মেয়ে সেই বিক্ষোভকে সমর্থন জানালেন
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ যেন একন্যমাত্রা পেয়ে গেল
আমেরিকায় গত সাতদিন ধরে চলছে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রতিবাদ। সেই আন্দোলন এক নতুন মাত্রা পেল। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হলেন খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছোট মেয়ে টিফনি ট্রাম্প। ওই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমেরিকায় চলা ব্যাপক বিক্ষোভকে সমর্থন জানালেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভকারীদের ওপরে আমেরিকার পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ার পরেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়ে পোস্ট করেন প্রেসিডেন্ট কনিষ্ঠা তনয়া টিফনি ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভে ক্ষতি হওয়া একটি চার্চ দেখতেজ্ঞিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, সেই সময় তার নিরাপত্তারক্ষীরা অকারণে বিক্ষোভকারীদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। ওই ঘটনায় বেজায় ক্ষেপে যান টিফনি।
এরপর অনেকেই টিফনি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন, তিনি যেন তার বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই বিক্ষোভের কারণ ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেন। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, বিক্ষোভ তাড়াতাড়ি না থামলে তিনি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যবহার করে সেনা নামাবেন।
সাম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে একটি হ্যাশট্যাগ #ব্ল্যাকআউট_টুয়েসডে, এটি আসলে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিক্ষোভকে সমর্থন করে একটি কালো পর্দার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে। টিফনি ট্রাম্প সেখানে হেলেন কিলার-এর একটি উদ্ধৃতিকে ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘একা আমরা খুব ছোট কিছু অর্জন করতে পারি, একসঙ্গে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারি’। একইসঙ্গে টিফনির ওই পোস্টে হ্যাশট্যাগ হিসেবে দেওয়া ছিল, ‘#ব্লাকআউটটুয়েসডে’ ও ‘#জাস্টিসফরজর্জফ্লয়েড’।
সম্প্রতি আমেরিকায় বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডকে শেতাঙ্গ পুলিশ যেরকম নির্মমভাবে হত্যা করেছে তার প্রতিবাদের দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভের ঘটনা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মহাসংকটে ফেলেছে। তিনি বিক্ষোভ দমনে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন। এমনকি প্রতিবাদীদের ঠান্ডা করতে সেনা নামানোর হুমকি দিয়েছেন।
বিক্ষোভে ক্রুদ্ধ ট্রাম্পের এমন হুমকিতে গণতন্ত্রের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছে সচেতন মহল। এমন ঘটনায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন। এভাবে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিশেষ করে সেনা নামিয়ে বিক্ষোভ দমনের বিষয়ে পেন্টাগন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।