এবার শিকার হিন্দু পুরোহিত! ট্রাম্পের দেশে ক্রমেই বাড়ছে ঘৃণা-রাজনীতি, মোদী কী বলবেন

  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমেই বাড়ছে হেট পলিটিক্স
  • এতদিন মুসলিম বা ইহুদিদের উপরই আক্রমণ হয়েছে
  • এবার এক হিন্দু পুরোহিতও ঘৃণা রাজনীতির শিকার হলেন
  • নিউইয়র্কে এক মন্দিরের কাছেই প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁকে বেধারক মারধর করা হয়

 

amartya lahiri | Published : Jul 22, 2019 8:04 AM IST

হেট পলিটিক্স বা বিদ্বেষমূলক রাজনীতি! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় সমস্যা। একদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদিনই হোয়াইট হাউস থেকে নতুন নতুন টুইটে, মন্তব্যে অভিবাসী বা ভিন দেশের বংশোদ্ভূতদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উগরে দিচ্ছেন। আর হোয়াইট হাউসের বাইরে ঘটে যাচ্ছে একের পর এক জাতি-বিদ্বেষমূলক হামলা। এতদিন মুসলিম বা ইহুদিদের উপরই এই আক্রমণ হলেও এবার এক হিন্দু পুরোহিতও এই ঘৃণা রাজনীতির শিকার হলেন।

গটনাটি গত সপ্তাহের। গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক শহরের ফ্লোরাল পার্ক এলাকার গ্লেমন ওকস-এর শিব শক্তি পিঠ মন্দিরের পুরোহিত স্বামী হরিশ চন্দর পুরি-কে বেধারক মারধর করা হয়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ তিনি ধর্মীয় পোশাক পরে তিনি মন্দিরে যাচ্ছিলেন। পথে পিছন থেকে সের্গিও গুভেইয়া নামে এক ৫২ বছরের ব্যক্তি তাঁর উপর হামলা চালায়। রাস্তায় ফেলে মারা হয় তাঁকে। মারের চোটে তাঁর মুখ ফেটে যায়। সারা শরীরে মারের দাগ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এখন অবশ্যতিনি অনেকটাই সুস্থ।

সের্গিও গুভেইয়াকে গ্রেফতার করা হলেও মার্কিন পুলিশ এখনও ঘটনাটি ঘৃণা-অপরাধ হিসেবে স্বীকার করেনি। তারা জানিয়েছে, এর পিছনে জাতি বিদ্বেষ ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্বামীজিকে মারার সময় গুভেইয়ার মুখে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছিল। তাদের দাবি 'এটা আমাদের এলাকা, এখান থেকে চলে যাও' - এই চিৎকার করতে করতেই হামলা চালানো হয়।  

এই ঘটনার দিন কয়েক আগেই ভিনদেশ বংশোদ্ভূত চার ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেসওম্যান-এর বিরুদ্ধে ঘৃণা উগরে দিয়েছিলেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। টুইট করে তিনি বলেছিলেন 'আমাদের দেশে থাকতে ভাল না লাগলে নিজেদের দেশে ফিরে যান'। এরপর নর্থ ক্যারোলিনায় তাঁর সমর্থকরা এই চার জনের অন্যতম সোমালিয়ায় জন্মানো মার্কিন নাগরিক ইলহান ওমরের বিরুদ্ধে 'ওকে ফেরত পাঠানো হোক' স্লোগান তোলেন।

মুসলিমদের যে তিনি পছন্দ করেন না, তা প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার আগে থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে মার্কিন মুলুকে সেই ঘৃণার শিকার হয়েছেন এমনকী ইহুদিরাও। এবার হাত পড়ল হিন্দুদের উপরও। এই ঘটনার পর ট্রাম্পের পরম বন্ধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্রাম্পকে কোনও বার্তা দেন কিনা সেটাই দেখার।

 

Share this article
click me!