এককালে যে সলমন খানের ছবি দেখতে বুঁদ হয়ে, আজ তাঁর বিপরীতেই অভিনয়। আসলে স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন সাংরে স্টেহেলট্রিম। আর সেই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়েই এখন তিনি বলিউডে। মুখোমুখি হয়েছেন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার। জানালেন রাধে ছবি নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।
বেড়ে ওঠা বাংলা-ভুটান সীমান্তে। ডুয়ার্স সাংরে-র কাছে অতি পরিচিত। এমনকী শিলিগুড়ি, কলকাতায় তাঁর যাতায়াত লেগেই থাকে অনবরত। এহেন সাংরে স্টিহেলট্রিম এবার বলিউডের বুকে। সলমন খান অভিনীত রাধে ছবির অন্যতম ভিলেন সাংরে। রণদীপ হুড়া রাধের মূল খলনায়ক। আর এই রণদীপ হুড়ার দুই সহযোগীদের মধ্যে একজন সাংরে। যাকে পর্দায় দেখা যাচ্ছে লোটা নামে। অভিনেতা হিসাবেই যে তাঁর কেরিয়ার শুরু এমনটা নয়। সাংরে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো। যিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাাকাডেমিতে। এরপর ভুটানের রাজার এলিট ফোর্সের অন্যতম সদস্য হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন সাংরে। একটা সময় রাজার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসাবেও নিয়োগ ছিলেন। কিন্তু, বডি বিল্ডিং-এর প্রতি প্রেমে পড়ে যান সাংরে। রাজার অনুমতি নিয়ে তিনি এলিট ফোর্স থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে মন দেন আন্তজার্তিক বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে তিনি ভুটানের হয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক পদক জয় করেন। এরপর বডি বিল্ডিং ছেড়ে দিয়ে ভুটানে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন সাংরে। ২০১৮ সালে ভুটানে অ্যাকশন হিরো হিসাবে সিংরে নামে এক ছবি-তে আত্মপ্রকাশ। সেই ছবি রেকর্ড হিট করে। সাংরে এরপর পরিচালক হায়দর খানের মাধ্যমে পা রাখেন বলিউডে। সেখানেই দাবাং-থ্রি সেটে সলমন খানের সঙ্গে পরিচয় হয় সাংরে-র। এরপরই সুযোগ আসে সলমন খানের কাছ থেকে। রাধে-র আগে ইনসাল্লাহ নামে একটি ছবিতেও সই করেছিলেন সাংরে। কিন্তু, অতিমারির কারণে সেই ছবির শ্যুটিং এখনও শুরু করা যায়নি।