৯/১১-তে মৃতদের পরিবারেরর পাশে থাকেন সাবু নায়ার। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এক মেমোরিয়াল সোসাইটি। যার মাধ্যমে ৯/১১-তে প্রাণ হারানোদের স্মরণ করা হয়। ৯/১১-র দগদগে ক্ষত এখনও মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। এশিয়ানেট নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন সাবু নায়ার।
২২ বছর পূরণ করে ফেলল ৯/১১-এর জঙ্গি হামলা। সন্ত্রাসবাদের এই অভিঘাত বিশ্বজুড়ে মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার নেতৃত্বে এই আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল। ৯/১১-র সকালে জঙ্গিদের ছিনতাই করা দুটো বিমান দিয়ে আক্রমণ হয়েছিল। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুটো বিমান আছড়ে পড়েছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। ৮.৪৬ মি-এ প্রথম বিমান হামলা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ারে। ৯.০৩ মি-এ দ্বিতীয় বিমান হামলা হয় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সাউথ টাওয়ারে। প্রথম বিমানটি ছিল আমেরিকান এয়ারলায়েন্সের ফ্লাইট ১১। দ্বিতীয় বিমানটি ছিল ইউনাইটেড এয়ারলায়েন্সের ফ্লাইট ১৭৫। এই দুই যাত্রী বিমান-ই টেক অফ করার পর হাইজ্যাক করেছিল জঙ্গিরা। একই দিনে আরও ২টি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করেছিল জঙ্গিরা। এরমধ্যে একটি ছিল আমেরিকান এয়ারলায়েন্সের ফ্লাইট ৭৭। জঙ্গিরা ফ্লাইট ৭৭- নিয়ে পেন্টাগনে হামলা চালিয়েছিল। চতুর্থ ফ্লাইটে জঙ্গিরা বিমান যাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল। জঙ্গিরা পেনসিলভেনিয়ায় একটি মাঠের উপরে বিমানটিকে ক্র্যাশ করায়। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি ছিল চতুর্থ বিমানের নিশানায় ছিল হোয়াইট হাউস। ৯/১১-এর এই জঙ্গি হামলায় ২৯৯৬ জন সাধারণ মানুষ মারা যায়। আত্মঘাতী এই হামলায় মৃত্যু হয় ১৯ আল কায়দা জঙ্গির। অন্তত ২৫ হাজার মানুষ এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় জখম হয়েছিলেন। আজ টুইন টাওয়ারের জায়গায় মেমোরিয়াল হয়েছে। এই মেমোরিয়ালের পাশেই তৈরি হয়েছে ডবলুটিও-র নতুন বহুতল। এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় আজও প্রচুর মানুষ নিখোঁজ, এদের কোনও খোঁজ নেই।