গণবিক্ষোভ বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা, গ্রাউন্ড জিরো থেকে সরাসরি। কলম্বোর বুকে টিম এশিয়ানেট নিউজ-এর প্রতিনিধিরা। সরাসরি রিপোর্ট করছেন মণু শঙ্কর এবং চিত্র সাংবাদিক অক্ষয়। দেশ চালাতে এক সুস্থ নির্ভরযোগ্য সরকার চায় শ্রীলঙ্কাবাসী। দেশ-বিদেশের মিডিয়ার সামনে এমনই আর্তি জানাচ্ছে শ্রীলঙ্কাবাসী। যে দ্বীপরাষ্ট্র একটা সময় হাসিখুশি ছিল, আজ সেখানে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অশনি। পরিত্যক্ত প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের অফিস চৌহদ্দিতেই বসেই চলছে প্রতিবাদ। রাষ্ট্রের প্রয়োজন মানুষের জন্য, সরকার চাই এই রাষ্ট্রকে ঠিক করে চালাতে। একের পক মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য শ্রীলঙ্কাবাসীর।
দিনের বেলার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ঘোষিত কারফিউ। যার ফলে রাস্তায় সে ভাবে কেউ বের হতে পারছে না। আরা তাই রাতের অন্ধকারে কারফিউ শীথিল হতেই বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। জানাচ্ছে তাঁদের প্রতিবাদ। কিছুদিন আগেও শ্রীলঙ্কার যে রাজধানীর আলো ঝলমলে চেহারাটা বিশ্ব ভ্রমণের মানচিত্রে জ্বলজ্বল করত আজ সেখানে শ্মশানের নিস্তব্ধতা, আলো নিভিয়ে রাখা এক অন্ধকারের কানাগলি। মাঝে মাঝে টিম টিম করে জ্বলছে কিছু আলো। আসলে আলো জ্বালতে গেলেও জ্বালানি লাগে। তাও যে এখন নেই দ্বীপরাষ্ট্রের। যেটুকু জ্বালানি রয়েছে তা দিয়ে হাসপাতাল এবং আবিশ্যিক কিছু স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজে লাগানো হচ্ছে। কিন্তু, অন্ধকারকে আর ভয় করছেন না শ্রীলঙ্কার মানুষ। তাঁরা এক নতুন ঊষার দিকে তাকিয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের চৌহদ্দিতে ঠায় বসে বসে প্রতিবাদের স্লোগান আর আর প্রতিবাদের গান দিয়ে মানুষকে জাগিয়ে রাখছে বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদের কলরব যাতে শান্ত না হয় তার জন্য অভুক্ত হয়েও, আলো-আধারির মায়া খেলার মধ্যেও গান গেয়ে চলেছেন ওরা, একটু শান্তি, একটু স্বস্তি, একটু আশার আলো- কে দেবে তাঁদের মধ্যে- হাত জোর করে এখন সাহায্য চাইছে শ্রীলঙ্কা।