সময় বহিয়া যায়, নদীর স্রোতের প্রায়.... জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো পাঁচশো বছরের বেশি পুরনো। প্রতিবছর যেমন হয়, এবারও তেমনি চিরাচরিত মেনে জন্মাষ্টমীর পরের দিন বুধবার কাঠামো পুজো হল রাজবাড়িতে। তবে করোনা আবহে আড়ম্বরের ছিঁটেফোঁটা ছিল না। রাজ পরিবারের মাত্র একজন সদস্যের তত্ত্বাবধানে কাঠামো পুজো করলেন পুরোহিত। দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হবে মনসা পুজোর পর।
প্রতিবছর প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কাঠামোটি তুলে রাখা হয় রাজ বাড়ির দুর্গা মণ্ডপে। জন্মাষ্টমীর পরের দিন সেই কাঠামোকে পুজোর মধ্য দিয়ে শারদোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে। সেদিন নান্দোৎসবের পর কাদা খেলায় মেতে ওঠেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। কাদা খেলার মাটি দিয়ে তৈরি হয় প্রতিমা। কথিত আছে, জঙ্গলে শিকার করতে গিয়ে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন জলপাইগুড়ির বৈকণ্ঠপুর রাজবাড়ির সদস্যরা। নিজেদের এক সঙ্গীকেও বলিও দিয়েছিলেন তাঁরা। এখনও চালের মন্ড, চাল কুমড়ো দিয়ে মানুষের প্রতিকৃতি বানিয়ে 'প্রতীকী নরবলি' দেওয়ার রেওয়াজ চালু আছে এই পুজোয়। এবার অবশ্য করোনাভাইরাসের কারণে পুজোয় কোনওরকম জাঁকজমক না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।