চতুর্থদফা পর্যন্ত যা ভোট হয়েছে তাতে বিজেপি ১০০ আসনের কাছাকাছি জয় পেয়েছে। এই ট্রেন্ড বাকি দফাতে চলতে থাকলে সংখ্যাটা ২০০ ছাপিয়ে যাবেই বলেই মত স্বপন দাশগুপ্তর।
চতুর্থদফার শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহরা যা বলছেন সেটাই ঠিক। সাফ জানালেন তারকেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত। এশিয়ানেট নিউজ বাংলা-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ভোটদানের যে গতিপ্রকৃতি ধরা পড়েছে এবং ভোটদাতাদের যে মানসিকতা প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে, তাতে নিশ্চিত ১০০-র কাছাকাছি আসনে বিজেপি ইতিমধ্যেই জয় পেয়েছে। অনুমানসাপেক্ষে কথাটি হলেও, সংখ্যাটা যদি ১০০ পারও করে যায় তাতে আশ্চর্য হওয়ারও কিছু দেখছেন না স্বপন দাশগুপ্ত। তাঁর মতে, যেভাবে বাংলার বুকে গত ১০ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস অপশাসন চালিয়েছে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতিকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা থেকে মানুষ মুক্তি চাইছে। আর এর প্রতিফলন ঘটছে ইভিএম-এ। সুতরাং, একটা সময়ে যে সব মানুষ অমিত শাহর ২০০-র বেশি আসনে জয়ের দাবিতে হেসেছিলেন, তারা এবার বুঝবেন যে ওই ভবিষ্যতবাণী কতটা সঠিক ছিল। স্বপন দাশগুপ্ত মনে করেন, বাংলার যে একটা উজ্জ্বল গরিমা ছিল ১৯৬৭ সালের পর থেকে তা অস্তমিত হয়েছে। সেই গরিমাকে এবার নতুন রূপে উদ্ভাসিত করার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে এবং বিজেপি সেই কাজটা করবে বলেই তাঁর দাবি। তিনি জানিয়েছন, কর্মসংস্থান ও শিল্প নিয়ে বিজেপি-র একটা সুস্পষ্ট ভাবনা রয়েছে। এর জন্য একটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা দিয়ে কর্মসংস্থান সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি করবে। সেই সঙ্গে তিনি জোর দিয়েছেন একটা সদর্থক ভাবমূর্তি তৈরির উপরে। তিনি জানিয়েছেন, নেতিবাচক রাজনীতির প্রভাবে বাংলার প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। আর এই ক্ষতি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।