সম্ভবত এটাই পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় গণবিবাহ। বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির প্রাঙ্গনে আজ রাতে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রী।এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেছেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস।
সম্ভবত এটাই পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় গণবিবাহ। বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির প্রাঙ্গনে আজ রাতে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রী।এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেছেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। কাউন্সিলর থাকাকালীন তিনি এটা শুরু করেন।এটা অষ্টমবর্ষ। এদের মধ্যে ১৫ জন মুসলিম ; ১ জন খ্রিস্টান। বাকিরা সবাই হিন্দু। নিজের নিজের ধর্মের নিয়ম মেনেই বিয়ে হল তাদের। এদিনের বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় ; দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ছিলেন জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া ; জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা ; পুলিশসুপার কামনাশীষ সেন। ছিলেন বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ আরো একঝাঁক বিধায়ক। গণবিবাহ হলেও আয়োজনের কমতি ছিল না। সকাল থেকেই কাঞ্চননগর সহ শহরে ছিল সাজোসাজো রব। দারুণ সুন্দর করে মন্ডপ সাজানো হয়েছিল। ছিল আলোকসজ্জা আর সাউন্ড সিস্টেম। বেলা গড়াতেই টোটো চেপে হাজির হন বরসহ বরযাত্রীরা। তেমনি কনের বাড়ির লোকেরাও হাজির ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন পুরোহিত ; কাজী আর পাদ্রীরাও। যেমন তেমন করে বিয়ে কিন্তু হয়নি।আয়োজকরা সব খরচ দিয়েছেন। দেওয়া হয়েছে সোনার আংটি আর নাকছাবি। দেওয়া হয়েছে কালার টিভি; বিছানা; সাইকেল; সেলাই মেশিন থেকে আরো অনেক দানসামগ্রী। আর দেওয়া হয়েছে বিমার পলিসি। দেওয়া হয়েছে চাল; আলু ; আটা থেকে একমাসের মত রেশন। এছাড়াও ছেলেপক্ষ আর কনেপক্ষের পঞ্চাশজন আত্মীয়ের ভুরিভোজের ব্যবস্থা তা ও ছিল। এভাবে চারহাত এক হওয়ায় খুশি কুশীলবেরাও।এভাবে হাজার হাজার মানুষকে সাক্ষী রেখে উৎসবের মত বিয়ে।