কন্যাসন্তান হওয়ায় গৃহবধূকে কীটনাশক দিয়ে মারার চেষ্টা। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ। দীর্ঘদিন ধরেই মহিলার ওপর অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ।
২ বছর আগে দমদমের বাসিন্দা রত্না দত্তের সঙ্গে বিয়ে হয় পানিহাটি নিউ কলোনির বাসিন্দা বাপ্পার। বিয়ে হওয়ার দু'বছর পর তাঁদের এক কন্যা সন্তান হয়। কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকে অত্যাচারের শিকার হতে হয় গৃহবধূ রত্না দত্তকে। স্বামী বাপ্পা দত্তর সেভাবে রোজগার ছিল না, তাই নিয়ে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের শিকার হতে হত গৃহবধূ রত্না দত্ত কে। রত্না দত্তকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা তার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য চাপ দিত বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি মতো কাজ না হলে গৃহবধূর উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন, দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চলতে চলতে বুধবার তা চরম সীমায় পৌছে যায়। বুধবার রত্না দত্তর শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদ তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং কীটনাশক ফিনাইল জোর করে তাঁকে খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ গৃহবধূর মা দিপালী কর্মকার ও তার পরিবারের লোকজনের। এই ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূ রত্না দত্তকে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রত্না দত্তের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খরদহ থানায় কিন্তু এখনও পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার করতে পারেনি খড়দহ থানার পুলিশ,এই ঘটনায় কেন দোষীরা গ্রেফতার হল না এই নিয়ে খড়দহ থানার ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন