রবিবার রাতে খুন হন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা। ঘটনার সময় টিটাগড় থানার সামনে একটা চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তিনি। সেই সময়েই দু'জন দুষ্কৃতি বাইকে করে এসে তাঁর ওপর এলোপাথারি গুলি চালায়। গুড়তর জখম অবস্থায় তাঁকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোট এলাকা। সেই সঙ্গেই সেখানে শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ। খুনের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। তৃণমূলের পোশা গুন্ডারাই খুন করেছে বলে অভিযোগ। এই মণীশ ব্যারাকপুর বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং -এর অন্যতম বিশ্বস্ত লোক ছিলেন। এছাড়াও তিনি নানা সামাজিক কাজ কর্মের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। আর সেই কারণেই এক রকম ব্যারাকপুরের দাদা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই মণীশ শুক্লার আকস্মীক প্রয়াণে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে সোমবার ১২ ঘন্টার বনধ ডাকে বিজেপি। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এই ঘটনা নিয়ে বলেছেন তাঁর পুলিশের প্রতি ভরসা নেই তাঁর। এমনকি ময়না তদন্তের সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন ১৮ ঘন্টা হয়ে গেলেও মণীশ শুক্লার দেহ তখনও ময়না তদন্তে পাঠানো হয়নি। আর সেই কারণেই সঠিক বিচারের আশায় তিনি দেখা করেন রাজ্য পালের সঙ্গে। এছাড়াও মণীশ শুক্লার খুনের জন্য বিজেপির যুব দলনেতা সৌমিত্র খান নবান্ন চলোর ডাক দিয়েছেন। সবার এখন একটা দাবি, মণীশ শুক্লার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত তাঁরা চান। সবাই দাবি জানিয়েছেন সিবিআই তদন্তের।