দুই বোনই ভুগোলে অনার্স পাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন পড়াশোনা করেছেন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। না, উচ্চ শিক্ষিত হয়েও চাকরি বা শিক্ষকতা নয়, উত্তর চব্বিশ পরগণার হাবরার কুমড়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দা দুই বোনের দিনের একটা বড় সময় কাটে চাষের মাঠে। কারণ ভুগোলে অনার্স নিয়েও এখন ভাল চাকরি জোটাতে পারেননি কেউই। দু' জনেরই ইচ্ছে প্রয়াত বাবার স্বপ্নপূরণ করে সরকারি চাকরি করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণ না হওয়ায় বাধ্য হয়েই চাষ করেই সংসার চালাচ্ছেন দুই বোন। দু' জনে চাষ করে যে আয় করেন, তাতেই চলে মাকে নিয়ে তিনজনের সংসার। তবে চাকরি না পাওয়ার হতাশা বা ক্ষোভ থাকলেও, চাষ করছেন বলে কোনও হীনমন্যতায় ভোগেন না আনখোলা গ্রামের বাসিন্দা দীপা এবং সমাপ্তি মণ্ডল।
হাবরার কুমড়া পঞ্চায়েতের আনখোলার বাসিন্দা দুই বোন গত কয়েক বছর ধরেই পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের জমিতে চাষ করে সংসার চালাচ্ছেন। দুই মেয়েকে নিয়ে রীতিমতো গর্বিত তাঁদের মা অঞ্জলী মণ্ডলও। ২০১৫ সালে মারা যান দীপা এবং সমাপ্তির বাবা ভোলানাথ মণ্ডল। তার পর থেকেই পড়াশোনার সঙ্গে পুরোদমে চাষের কাজ করেন দুই বোন। দীপা এবং সমাপ্তি মণ্ডলের এই লড়াইয়ের কথা এলাকার বিডিও-রও কানে গিয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, দুই বোনকে নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন। চাষের জমি থেকে দুই বোনের স্বপ্নপূরণ হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।