সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে মেলা। আর সেই মেলাতেই আয়োজিত হল চটুল নাচের আসর। ছোট পোশাকে যুবতীদের চটুল নাচ দেখতে ভিড় করল মদ্যপ যুবকরা। এমনই লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল অমর কথা সাহিত্যের স্মৃতি বিজড়িত বনগাঁর গোপালনগর এলাকা। নিজের কৈশোর এবং যৌবনের একটা বড় অংশ যেখানে কাটিয়েছিলেন বিভূতিভূষণ। চটুল নাচের আসর যখন জমে উঠেছে, তখনও মঞ্চের একপাশে বিভূতিভূষণের ছবি রাখা ছিল। মঞ্চে লাগানো ব্যানারেও ছিল বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই সমাজের সর্বস্তর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
গোপালনগর থানার শ্রীপল্লি এলাকায় এখনও রয়েছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি। এই বাড়িতে কাটিয়েছেন স্কুলজীবন। রচনা করেছেন বহু সাহিত্যও।গোপালনগর হরিপদ ইন্সটিটিউশনে শিক্ষকতাও করতে যেতেন এই বাড়ি থেকেই। কিংবদন্তি সাহিত্যিকের সেই বাড়ি আজও সাহিত্যপ্রেমী মানুষ এবং পর্যটকদের কাছে অন্যতম দ্রষ্টব্য। ১২ সেপ্টেম্বর বিভূতিভূষণের জন্মদিন উপলক্ষে গত ২৩ বছর ধরে শ্রীপল্লির মাঠে আয়োজিত হয় বিভূতিভূষণ সাহিত্য মেলা ও লোকসংস্কৃতি উৎসব। সেখানেই এই চটুল নাচ শুরু হয়। সাহিত্যপ্রেমীদের অভিযোগ, বিভূতিভূষণের স্মৃতিতে আয়োজিত মেলায় এমন নাচের আয়োজন করে আসলে কিংবদন্তি সাহিত্যিকের স্মৃতিবিজড়িত এলাকাকেই কলঙ্কিত করল অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা।