সকাল থেকেই সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে বিজেপি সমর্থক বনাম পুলিশের টাগ অফ ওয়ার চলছিল-ই। শনিবার হিংসা বিধ্বস্ত হাওড়ার গ্রামীণে যেতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু তাঁর সেই যাত্রার আগেই পুলিশ এসে নিউটাউনের বাড়িতে গৃহবন্দি করে। এরপর সেই বাধা কেটে বের হলেও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সামনে আটকে যেতে হয়।
পুলিশি অবরোধকে ঠেলেই দ্বিতীয় হুগলি সেঁতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিল অগুণিত বিজেপি সমর্থক এবং কর্মী। তাঁরাই রাস্তার মাঝে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে সুকান্ত-র জন্য রাস্তা পরিষ্কার করে দিচ্ছেলেন। কিন্তু, কখনও হেঁটে এবং আবার কখনও গাড়িতে চেপে দ্বিতীয় হুগলি সেঁতুর টোল প্লাজায় যখন সুকান্ত মজুমদার তাঁর দলবল নিয়ে পৌঁছান তখন আগে থেকে সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কলকাতার ডিসি সাউথ এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি হেডকোয়ার্টারের হেড। সেখানে পুলিশের সঙ্গে খানিক বাদানুবাদের পর সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভার দিয়ে নামা সুকান্ত মজুমদারের কনভয় আটকে দিয়েছিল পুলিশ। ফলে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেছিলেন সুকান্ত। সেখানেও পুলিশ তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সুকান্ত মজুমদারের একটাই বক্তব্য ছিল যে অর্ডার দেখাতে হবে যে তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না। পাল্টা পুলিশও জানায় যে সুকান্তকেই মুচলেকা দিতে হবে যে তিনি হাওড়ার ১৪৪ ধারা লাগু থাকা এলাকায় যাবেন না। যদিও, সুকান্ত মজুমদার পুলিশের এই বাধাকে পাত্তা না দিয়েই এগোতে থাকেন। পিটিএস-এর সামনে থেকে ফের অন্য একটি গাড়িতে উঠে দ্বিতীয় হুগলি সেঁতুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সুকান্ত।
দ্বিতীয় হুগলি সেঁতুর টোল প্লাজার খানিকটা আগে পুলিশের বিশাল বাহিনী সুকান্ত মজুমদারদের পথ আটকায়। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সাফ বলেন যদি পুলিশ মনে করে যে তিনি আইন ভাঙছেন তাহলে গ্রেফতার কেন করা হচ্ছে না। তাঁকে গ্রেফতার না করা হলে তিনি হাওড়াতে প্রবেশ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। এরপরই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায়।
শনিবার সকালেই নিউটাউনে সুকান্ত মজুমদারের অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছেছিলো বিধাননগর থানার পুলিশ। সুকান্ত মজুমদার বাইরে আসতেই তাঁকে পুলিশ বাহিনী এবং তার কর্তারা ঘিরে ধরে। কিন্তু, সুকান্ত মজুমদার অনড় থাকায় পুলিশ শেষমেশ পিছু হঠে, এর মধ্যে অসংখ্য বিজেপি কর্মী ও সমর্থক সুকান্ত ফ্ল্যাটের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। এরাই সুকান্তকে পুলিশের কব্জা থেকে বের করে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা করে দিয়েছিলেন