ডুয়ার্সে বেড়াতে এসে এক অনন্য অভিজ্ঞতার স্বাক্ষি হলেন পর্যটকরা। বুধবার মেটেলি ব্লকের গাছবাড়িতে আয়োজন করা হয়েছিল হাতিপুজোর। সূর্য্য, কাবেরি, হিলারি, চম্পা, বসন্ত ও শ্রাবণী এই ৬টি কুনকি হাতিকে স্নান করে সাজিয়ে, গুছিয়ে পুজো মণ্ডপে নিয়ে আসা হয়। এরপর নিয়ম নীতি মেনে, মন্ত্র উচ্চারণ করে পুজো করলেন পুরোহিত। চলল শঙ্খ , উলুধ্বনি। পুজো শেষে হাতিদের ভালমন্দ খাওয়ান হয়। বিশ্বকর্মার বাহনের পুজো দেখতে স্থানীয় গ্রামগুলির বাসিন্দাদের সঙ্গে ভিড় জমান পর্যটকরা। তারাও মহাআনন্দে কলা, আপেল মুখে তুলে দেন সূর্য্য, কাবেরীদের মুখে। গত ১০ বছর ধরে হাতি পুজো হয়ে আসছে ডুয়ার্সে। একসময় নমঃ নমঃ করে শুরু হলেও ক্রমেই পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে। তাই বনদফতরও এখন ঘটা করে হাতি পুজো করছে। পুজো শেষে গ্রামবাসি ও পর্যটকরা একসঙ্গে পংঙ্কিভোজও সারেন। মেনুতে ছিল খিচুড়ি, তরকারি, পাঁপড় আর সবশেষে মিষ্টি। এদিন পুজো উপলক্ষ্যে ৬টি হাতিকেই সবেতন ছুটি দেওয়া হয়েছিল।