তবে এবার প্রশ্নটা এসেই যায়, কে এই রোদ্দুর রায়। রোদ্দুর রায়ের আসল নাম , অর্নিবাণ রায়। পেশায় দিল্লিতে কর্মরত একজন আইটি কর্মচারী ছিলেন। পরবর্তী চেতনা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার এই বিকৃত গান কবিতা আসলে গবেষণার বিষয় বস্তু। 'অ্যান্ড স্টেলা টার্নস আ মম' নামে মনোবিজ্ঞানের একটি বইও লিখেছেন তিনি। এছাড়াও বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী থাঙ্কমণি কুট্টির সঙ্গেও লেখক হিসেবে কাজ করেছেন রোদ্দুর রায়।
গোয়া থেকে গ্রেফতার রোদ্দুর রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিয়ে সদ্য করা ফেসবুক লাইভে অশালীন মন্তব্য করেছে রোদ্দুর রায়। এরপরেই রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। পাশাপাশি হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। লালবাজারের সাইবার সেলের কর্তারা মঙ্গলবার গোয়ায় গিয়ে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার করেছেন।
'দিদি' সম্বোধন করে কুরুচিকর মন্তব্য করেন রোদ্দুর রায়সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন রোদ্দুর রায়। দেড় ঘন্টার সেই লাইভে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। নিজস্ব ভঙ্গিতেই আক্রমণ করেন বিশিষ্ট জনকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। লাইভে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। আর তারপর পরই রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় লিখিত অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। একদিকে যেমন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মিটিং মিছিল হলে রাস্তায় সাধারণ মানুষ ভুক্তভুগি হয়ে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন রোদ্দুর রায় ওই ফেসবুক লাইভে। অপরদিকে অভিষেকের বাইক সফর নিয়েও কটা করে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। আর এরপরেই স্বাভাবিকভাবেই চটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।