মৃন্ময়ী নয়, এ এক জীবন্ত দু্র্গার কাহিনী। বর্ধমান শহরে গেলে আপনি দেখতে পাবেন এক মহিলা টোটো চালককে। যাত্রী নিয়ে শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। সংসারে এক মেয়ে, দুই ছেলে। স্বামী সেলুনে কাজ করেন। অভাবের সংসারের হাল ধরতেই এই জীবিকা বেছে নিয়েছেন সবিতা প্রামাণিক। এক আত্মীয়ের থেকে শেখেন টোটো চালান। তারপর ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কিনে ফেলেন একটি টোটো। তেলিপুকুর টোটোস্যান্ডের যাত্রীদের কাছে এখন অতি পরিচিত মুখ সবিতা। দিনে রোজগার ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। সেই টাকা থেকেই শোধ করছেন ব্যাঙ্ক ঋণ। তবে লড়াইটা মসৃণ ছিল না এই সাহসিনীর। টোটো নিয়ে পথে নামার জন্য নিয়মিত কটূক্তিও আসে। তবে এসব উপেক্ষা করেই এগিয়ে যেতে চান সবিতা।