ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে রান্নার গ্যাসের মূল্য। রান্না করতে এখন তাই জঙ্গলের কাঠই একমাত্র ভরসা। এমনই ছবি দেখা গেল সুন্দরবনের একাধিক গ্রামে। সুন্দরবলেনর জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘ।
ইয়াস পরবর্তী সুন্দরবনের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছে। উত্তর ২৪, পরগনায় সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিতলা, সামসেননগর, ৪, নম্বর সামসেননগর সহ বেশকিছু গ্রামের মানুষের জ্বালানির অভাব দেখা দিয়েছে। করোনা মহামারীর দীর্ঘ লকডাউন এর জের, বহু মানুষ কাজ হারিয়েছে। রেশনের চাল বিনামূল্যে পেলেও সেগুলো রান্না করে খাওয়ানোর জ্বালানির অভাব। ঝিঙ্কাখালি ফরেস্ট কুকুরে খালি নদীতে জোয়ারে গিয়ে জঙ্গলে ঢুকে গাছ কেটে ভাটায় চলে আসে, কাঠ নিয়ে গ্রামে ফেরে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে গিয়ে কাঠ কাটতে যাচ্ছে ওরা। ম্যানগ্রোভ এর বিভিন্ন প্রজাতির সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হেতাল, কেওড়া, বান কাঠ কেটে রান্না করে ছেলেমেয়েদের খাওয়ানোর জন্য সেই ছবি ধরা পরল কলকাতা টিভির ক্যামেরায়। বনদপ্তর এর নির্দেশিকা কে অমান্য করে, চুরি করে জঙ্গলে কাঠ কেটে আনছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, একটি গাছ কাটলে পাচ টা গাছ লাগাতে হবে। কোনভাবেই ভাবে গাছ কাটা যাবে না, সম্পূর্ণ বেআইনি। ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট কে নির্দেশ দেওয়া আছে। কিন্তু কে কার কথা শোনে পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। তাই চুরি করে জঙ্গলের পথে ওরা গাছ কাটতে।