করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবন, জীবিকা থেকে শুরু করে অর্থনীতি সব কিছুর ওপরেই। এই করোনা কাজ কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের। সেই দল থেকে বাদ যায়নি পটচিত্র শিল্পীরাও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডীপুর ব্লকের হবিচক ও নারানচক এলাকায় বহু মানুষের রোজগারের একমাত্র উপায় ছিল পটশিল্প। মেলায় মেলার এই শিল্পর মাধ্যেমে পেট চলতো তাদের। তবে দীর্ঘ লকডাউনের ফলে সমস্ত মেলা এখন বন্ধ। আবারও কবে হবে তারও কোনও ঠিক নেই। তবে তারা বসে না থেকে এক নতুন ভবনায় তুলে ধরছে বাংলার পটচিত্রকে। করোনা আবহে মাস্ক যেন আমাদের সবসময়ের একটা অলংকার হয়ে উঠেছে। আর সেই অলংকারই এখন সাজছে তুলির টানে পটচিত্রের আদলে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডীপুর ব্লকের হবিচক ও নারানচক এলাকার বাসিন্দারা তাদের রোজগারের বিকল্প পথ হিসাবে তৈরি করতে শুরু করেছিলেন মাস্ক। প্রথমে ১০-১৫ জন মিলে শুরু করেন এই কাজ। পটচিত্রে আঁকা ছবি মাস্কে ফুটিয়ে তোলায় ব্যাপক চাহিদা হয় সেই মাস্কের। এখন সেই মাস্কেরই অর্ডার আসছে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় এর বাইরে ভিনরাজ্য থেকেও। গুজরাট,দিল্লী,মহারাষ্ট্র,হায়দ্রাবাদে পৌঁছে যাচ্ছে এই মাস্ক। ক্রমশই চাহিদা বাড়ছে মাস্কের। শুধু ভিন রাজ্যেই নয় বিদেশ থেকেও সাড়া পাচ্ছেন তারা। আর এখন এই মাস্ক বিদেশে পাঠানোরও ব্যবস্থা চলছে।