বাঁকুড়ার ভড়া গ্রামে মণ্ডল জমিদার বাড়ির চার পরিবারের পুজোর নবপত্রিকা এলো প্রাচীন নিয়ম মেনে। বাদ্য যন্ত্র সহকারে স্থানীয় পুকুর থেকে নবপত্রিকা স্নান পর্ব সম্পূর্ণ করে গ্রাম প্রদক্ষিণ করে তা মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। বহু প্রাচীন এই নিয়ম আজও পালন করছে মণ্ডল পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম। মণ্ডল জমিদারদের পুজো প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো। শোনা যায়, বর্গী আক্রমণের সময় মণ্ডলরা পালিয়ে আসে ভড়া গ্রামে। মল্ল রাজাদের সৌজন্যে মণ্ডল জমিদার বাড়ির বহর বেড়ে ওঠে। অসুখ থেকে বাঁচতে পুজো শুরু হয়েছিল মণ্ডল পরিবারে। পরবর্তীকালে চার পরিবারের পুজো শুরু হয়।
আজ জমিদারি নেই, কিন্তু ভড়া গ্রামের চারটি পরিবারের পুজো সেই প্রাচীন নিয়ম মেনেই আজও হয়ে আসছে। নবপত্রিকাকে জমিদারদের বাঁধা পুকুরে স্নান করিয়ে ঘট উত্তোলন করে গ্রাম প্রদক্ষিণ করে নিয়ে আসা হয় মণ্ডল জমিদাদের চার মন্দিরে। এই নবপত্রিকা শোভাযাত্রা দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষ।