নন্দীগ্রামে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে ফিরে আসতে বাধ্য হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি হঁশিয়ারি দেন, ফের তিনি নন্দীগ্রাম আসবেন এবং সেখানে যে কোনও মূল্যে পৌঁছবেন। এ দিন নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রামের দিকে যাচ্ছিল বিজেপি-র অভিনন্দন যাত্রা। সেই সময় রেয়াপাড়ার কাছে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে বিজেপি-র মিছিল আটকায়। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা এগনোর চেষ্টা করলে দিলী ঘোষের সামনেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিজেপি নেতাদের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি পরে দাবি করেন, চিঠি দিয়ে একমাস আগে জেলা পুলিশের থেকে তাঁরা মিছিলেনর অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি পুলিশ। বিজেপি রাজ্য সভাপতির অভিযোগ শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেছে। ক্ষুব্ধ দিলীপ বলেন, 'ব্যারিকেড ভাঙার জন্য আমরা এখানে আসিনি। আমাদের লক্ষ্য এখানকার স্বৈরাচারী সরকারকে ভাঙা। আমাদের কর্মীরা যে আত্মত্যাগ করছেন, বিজেপি-র পতাকা হাতে পুলিশের লাঠি খাচ্ছেন, সেটা আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। এর পরে আমি আবার এসে নন্দীগ্রাম পৌঁছব, সে জ্যান্ত হোক বা মৃত।' কটাক্ষ করে দিলীপ আরও বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে এই নন্দীগ্রামেই পুলিশ আটকেছিল। তার পরেও সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। আজ আমায় দিদির পুলিশ আটকাল। বাকিটা কী হচে চলেছে আপনারাই বুঝে নিন।'