শিবহরি দে। হাওড়া বর্ধমান মেন শাখার মেমারি স্টেশন তাঁর ঠিকানা। স্টেশনেই খাওয়া-দাওয়া, স্টেশনেই দিনযাপন। মাথায় ফেট্টি, ছেঁড়া জামা পরে বসে থাকেন স্টেশনে। হাতে আর্ট পেপার এবং পেন্সিল। কেউ সামনে বসলে অবিকল তাঁর মুখ নিমেষের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে পারেন ক্যানভাসে। পারিশ্রমিক পঞ্চাশ টাকা হলেও অনেকেই তা দেন না। এই সামান্য রোজগারে কোনওক্রমে পেট চলে এই প্রতিভাবান শিল্পীর। কারও ফোনে শাহরুখ খানের মতো জনপ্রিয় তারকার ছবি দেখেও অনায়াসে তা এঁকে ফেলেছেন
স্বপ্ন ছিল বড় শিল্পী হবেন। স্বপ্ন ছিল আঁকার স্কুল খুলবেন। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণ না হলেও ছবি আঁকা নিয়েই বেঁচে আছেন এই শিল্পী। খাবার না জুটলেও কারও কাছে হাত পেতে টাকা নেন না তিনি। এই এলাকাতেই তাঁর জন্ম। কোন কারণে তিনি ঘরছাড়া। বছর চারেক বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তবে বেশিরভাগ সময় কাটে মেমারি স্টেশনেই। প্ল্যাটফর্ম থেকে গান গেয়ে বিখ্য়াত হয়েছেন রাণু মণ্ডল। চিত্রশিল্পী শিবহরির কি সেই সৌভাগ্য হবে!