মাঠ ঘাট ভরে গিয়েছে জলে। এমনকী প্রায় পেকে যাওয়া ধান গাছের গোড়ায় জল। গাছ থেকে পড়ে গিয়েছে আম। পাঠের ক্ষেত থেকে সরষে ক্ষেত-সবখানেই একই হাল।
মাঠ ঘাট ভরে গিয়েছে জলে। এমনকী প্রায় পেকে যাওয়া ধান গাছের গোড়ায় জল। গাছ থেকে পড়ে গিয়েছে আম। পাঠের ক্ষেত থেকে সরষে ক্ষেত-সবখানেই একই হাল। শুক্রবার রাতে মালদহের চাঁচল এবং হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় যে ব্যাপক প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তাতে এখন এমনই পরিস্থিতি এখানকার গ্রামাঞ্চলে। ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে চাষীদের। এর সঙ্গে কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হওয়াতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা আরও বেড়ে গিয়েছে। আর মাস খানেক পর থেকেই পাঠ পরিপক্ক হওয়ার কথা ছিল। দিন কয়েক পর থেকে ধানও ঘরে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগেই এখন জল জমা ধানের ক্ষেত থেকে আগে-ভাগে ফসল কেটে নিতে হচ্ছে। নাহলে জমা জল ধানকে পচিয়ে দেবে। বিশেষ করে চাঁচলের কলিগ্রাম, মতিহারপুর, চন্দ্রপাড়া, জালালপুর, ডাহুকা-সহ বিভিন্ন মৌজায় ব্যাপক ক্ষতি করে দিয়েছে শুক্রবার রাতের ঝড় ও বৃষ্টি। এহেন পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্যের আর্তি জানিয়েছেন চাষীরা। শুক্রবার রাতের ঝড়-বৃষ্টিতে হরিশ্চন্দ্রপুরের বহু জায়গায় বড় বড় গাছ পরে গিয়ে রাস্তা আটকে গিয়েছিল। আপাতত সেই সব গাছ কেটে রাস্তাকে মুক্ত করা হয়েছে। এখনও বহু গ্রাম বিদ্যুৎহীন। শুক্রবার রাত থেকেই এই সব এলাকায় বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। মহকুমা কৃষি দফতর থেকে ইতিমধ্যেই একটি রিপোর্ট জেলা আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।