এই মুহূর্তে বাড়ি ফিরেছেন সুস্মিতা। সেদিনের সেই অনুভূতি তাঁর কোনওদিনই ভোলার নয় বলেই মনে করছেন। সন্তানের জন্ম দিতে পারাটা যে কোনও মহিলার কাছে এক চরম গর্বের। আর এমন এক মুহূর্তে সন্তানের আগমনের জন্য মা-র মুখে রবীন্দ্রসঙ্গীত তা যেন আরও এই ক্ষণকে করে তোলে মূল্যবান। কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন সুস্মিতা ও দেবাশিস। নাম রেখেছেন দিব্যাংশি।
দিনটি ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। আর সেই দিনে ঘর আলো করে আসুক তাঁদের নবজাতক। এমনই চেয়েছিলেন হাবড়ার জয়গাছীর শ্রদ্ধানন্দ পল্লির দম্পতি দেবাশিস ও সুস্মিতা। পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী মসলন্দপুরের একটি নার্সিংহোমে ডেলিভারির জন্য ভর্তি হয়েছিলেন সুস্মিতা। ওটি-তে চিকিৎসকের সঙ্গ কথোপকথনে সুস্মিতা জানিয়েছিলেন যে তাঁর পড়াশোনা গান-বাজনা নিয়ে এবং তিনি গান করতে ভালোবাসেন। ওটাই তাঁর সবচেয়ে বড় প্যাশন। ওটি-র টেবিলে চিকিৎসক এবং নার্সরা সুস্মিতার কাছে গান শুনতে চান। এদিকে তখন নবজাতককের ভূমিষ্ঠের আয়োজন চলছিল একই সঙ্গে। সুস্মিতার আদি বাড়ির হাবরারই হাটথুবায়। পরিবারে ঘর আলো করে আসা ফুটফুটে সন্তানের আদর-যত্নিতেই এখন মাতোয়ারা দে ও দাস পরিবার। সুস্মিতার ইচ্ছে মেয়েকে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিম দেওয়ার। এমন ইচ্ছেটা না হওয়াটা খুব একটা অবাঞ্চিত নয় সুস্মিতার কাছে। যেখানে মা-এর কন্ঠে খেলা করে রবি করিবর সুরের তাল-ছন্দ সেখানে তো তার সন্তানের মধ্যে তা প্রবাহিত হলে খুব একটা আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।