তৃতীয় দফার ভোটে ইতিহাসের সামনে তিন মহিলা - প্রার্থী নন, প্রশাসন সামলাবেন তাঁরা

মাঝে আর দুটি দিন, ৬ এপ্রিলই তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ

ভোট হবে হাওড়া, হুগলী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার ৩১টি বুথে

ওই দিন ইতিহাস গড়তে চলেছেন তিন মহিলা

মহিলা প্রশাসকরাই সামলাবেন ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া

 

amartya lahiri | Published : Apr 3, 2021 12:39 PM IST

মাঝে আর দুটি দিন, তারপর ৬ এপ্রিল তারিখেই বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। ভোট হাওড়া, হুগলী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ৩১ বুথে। বিরাট পরীক্ষায় বসতে চলেছেন তিন প্রমীলা। না, তাঁরা কেউই প্রার্থী নন। তিন জেলার জেলাশাসক হিসাবে তাঁদের কাঁধে থাকবে নির্বাচনের দিন প্রশাসন সামলানোর।

কুণাল ঘোষ, দেবযানী মুখোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়,

দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য আর হুগলীর জেলাশাসক দীপপ্রিয়া পি - তিন মহিলা প্রশাসকই নিজ নিজ গুণে অনন্য। তিন জনের মধ্যে একমাত্র বাঙালি হলেন অন্তরা আচার্য। মুক্তা আর্য বড় হয়েছেন দিল্লিতে আর দীপপ্রিয়া পি তামিল নাড়ুর মানুষ।

তিনজনের মধ্যে বয়সের দিক থেকে সবচেয়ে সিনিয়র অন্তরা আচার্য। বিবাহ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি পড়াশোনা ছাড়েননি। নিজের জেদে ২০০৮ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষা পাস করে আইএএস হয়েছিলেন। হুগলীর শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। পরে, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দায়িত্ব সামলে জেলাশাসক হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার। মৃদুভাষী হলেও, এই প্রশাসনিক আধিকারিকের সহজেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

২০০৮ সালেই ইউপিএসসি পাস করে মুক্তা আর্য, পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন মহকুমা শাসকের দায়িত্ব নিয়ে। শান্ত, ধীর-স্থির অথচ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে সিদ্ধহস্ত এই আধিকারিককে গত লোকসভা ভোচের মুখে বাঁকুড়ার জেলাশাসক করা হয়েছিল। ভোটের পর পাঠানো হয়েছিল খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের যুগ্ম সচিব পদে। গত বছর নভেম্বরেই হাওড়ার জেলাশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন।

বাকি দুজনের থেকে বয়স এবং প্রশাসনিক অভিজ্ঞতায় কিছুটা পিছিয়ে দীপপ্রিয়া পি। তবে তাঁর দক্ষতা নিয়ে কারোর মনে কোনও প্রশ্ন নেই। তাই, ২০১১ ব্যাচের এই আইএএস-কে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং-এর মতো উত্তরবঙ্গের দুই জেলার দায়িত্ব সামলে এখন তিনি হুগলির দায়িত্বে। কৃষি দফতরের যুগ্ম সচিবের পদও সাফল্যের সঙ্গে সামলেছিলেন তিনি।  

আর এই তিন মহিলা প্রশাসনিক আধিকারিকই ২দিন বাদে ইতিহাস গড়তে চলেছেন। এর আগে বাংলা কেন, ভারতের কোনও নির্বাচনেও কোনও একদফার নির্বাচন সামলানোর দায়িত্ব শুধুমাত্র মহিলাদের উপর ছিল, এমনটা কেউ মনে করতে পারছেন না। আর এই তিন মহিলার জন্যই তৃতীয় দফার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই হবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

Share this article
click me!