দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা চলছিল তাঁকে নিয়ে। একটা সময় তিনি ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। দলীয় কোনও পদ না থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল নিবীড়। তিনি অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। বুধবার রাতে তিনি শুভেন্দু অধীকারীরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা আরও তুঙ্গে ওঠে। যদিও রুদ্রনীল ঘোষ এই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান। বড় জায়গায় কাজ করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি। সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি যোগদিতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সংস্থার জানিয়েছে রুদ্রনীল ঘোষ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসাও করেছেন।
সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, বুধবার রাতে দক্ষিণ কলকাতা একটি অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্রের সঙ্গে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেনষ সেখানেই তাঁরা কথা বলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রুদ্রনীল জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। এই মাসের শুরুতেই রুদ্রনীল দেখা করেছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার সঙ্গে। সেই সময়ই রুদ্রনীল জানিয়েছিলেন শঙ্কুদের পণ্ডা তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে বলেছিল। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বলেও জানিয়েছেন।
একটা সময় বাম ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন রুদ্রনীল। রাজ্যে পালা বদলের পরই ধীরে ধীরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সান্নিধ্যে আসেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন তৃণমূলের প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তৃণমূলে কোনও পদ না পেলেও তিনি বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদের সভাপতির দায়িত্বে পেয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। ধীরে ধীরে তা সামনেও আসে। ঘনিষ্ট মহলে তিনি জানিয়েছেন আগামী মাসের শুরুতেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। অভিনেতা জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের তরফ থেকেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কাউকেই এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি।