প্রার্থী পদ নিয়ে অশান্তি। এবার অনুব্রত মণ্ডলের গড়েই তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন দেখা দিল।তৃণমূল ছাড়লেন জেলা সহ সভাপতি আলি খান, লড়বেন নির্দল প্রার্থী হয়ে। নিজের অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২৮০ ভোট তৃণমূলের আব্দুর রহমানের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন আলি খান। ভোটের পরেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান করেন তৃণমূল। তবে এবারও তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করেনি। প্রথম থেকেই টিকিটের জন্য জেলা নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছিলেন আলি খান। কিন্তু দল মুরারই আসনের জন্য বিদায়ী বিধায়ক আব্দুর রহমানকেই প্রথমে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে। প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার কয়েকদিন পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন আব্দুর রহমান। এরপর প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। আলি খান বলেন, "ভেবেছিলাম নতুন প্রার্থী তালিকায় আমার নাম থাকবে। পরে দেখা গেল চিকিৎসক শিশু বিশেষজ্ঞ তথা মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করা হয়েছে। মোশারফ হোসনকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল কংগ্রেসও। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে প্রার্থী করতে চাওয়ায় তিনি রাজি হয়ে যান। এতেই তাঁর কর্মী সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। অনুগামীরাও প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। সকলের মতামত নিয়ে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী ৭ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দেব জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন।
এদিন আলি খানের রাজগ্রামের অফিসে কর্মী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের শামসুল কামলিন, কংগ্রেসের মুরারই ২ ব্লক সহ সভাপতি দেবপ্রকাস ধর, তৃণমূলের মহম্মদ আলিমুদ্দিন সহ অনেকে। আলি খানের দাবি এদিনের বৈঠকে ৪০ জন পঞ্চায়েত সদস্য, ১০ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও কর্মাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুব্রত গড় বলে কথা বীরভূম জেলা। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে কতটা বেগ দিতে পারবেন আলি খান তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।