২১-এর ভোটযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গে। দুইদফার ভোট হয়ে গেলেও দলের প্রার্থীদের জন্য বিধানসভা নির্বাচনে জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের ভোটের প্রচার। তারকারাও সামিল হয়েছেন ভোট প্রচারে। বিজেপি-তে যোগ দিয়ে প্রার্থীদের সমর্থনে একের পর এক সভা করছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। সোনার বাংলাকে গড়ে তুলতে তৃণমূল সরকারকেও উৎঘাতের ডাক দিয়েছেন মিঠুন। অভিনেতা মিঠুন থেকে বিজেপি নেতা মিঠুন এবার চলে এসেছেন টুইটারে। এবার টুইটযুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়েছেন মহাগুরু।
আরও পড়ুন-প্রশাসনিক কাজ সঙ্গে ৩ দিনে ৪ রাজ্যে ১০ সমাবেশ, নির্বাচনী প্রচারেও 'মোদী ঝড়'...
গত ২০ মার্চ নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেক প্রথম টুইট করেন বিজেপি তারকা প্রার্থী মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খড়গপুরের সভায় স্বাগত জানান অভিনেতা। ঠিক তার পরের টুইটেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে লেখেন, 'দশ বছর আগে পরিবর্তনের নামে ক্ষমতায় এসে উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল সরকার। সেখানে নির্বাচনের মুখে ভোটব্যাঙ্কের লোভে উন্নয়নকে হাতিয়ার করছেন পিসি।' তারপর থেকে ভোটপ্রচারে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে একাধিকবার পিসি বলতে শোনা গেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের মুখে। ছোটবোন থেকে পিসি মমতার সঙ্গে টুইট যুদ্ধে মাঠে নেমেছেন মিঠুন।
'ছিলেন তৃণমূল এখন বিজেপি ঠিক তেমনই ছিলেন ছোটবোন হলেন পিসি'। মিঠুন-মমতা সম্পর্কটাও এইভাবে বদলে গিয়েছে ধীরে ধীরে। রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে নবান্নে এসেই বয়সে ছোট মমতার হাঁটু ছুয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিঠুন বলেছিলেন, ছোটবোন মমতার দেওয়া এই সম্মান তিনি কোনওদিনই ভুলবনে না। কিন্তু সময় এগোতেই চিত্রবদল।তারপর সারদা কান্ডে নাম জড়াতেই ২০১৬ সালে রাজনীতি থেকে ইস্তফা দেন মিঠুন। বাড়তে থাকে দূরত্ব। সেইদিনের ' ছোটবোন' ই আজ ' পিসি' হয়ে গেছে। উল্লেখ্য গত লোকসভা ভোটে যেমন উত্তরপ্রদেশের মায়াবতী ও অখিলেশ জোটকে ' ' বুয়া-ভাতিজা' কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি নেতারা ঠিক তেমনই একুশের বঙ্গ ভোটেও মমতা অভিষেককে 'পিসি-ভাইপো ' বলে আক্রমণ শানাচ্ছেন বিরোধী পক্ষ। তবে 'পিসি-ভাইপো'র প্রতিবাদে মিছিলে ঝড় তুললেও বিজেপি নেতা মিঠুনের সম্বোধনে নিশ্চুপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।