প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভ যেন আর থামতেই চাইছে না বিজেপিতে। একদিকে বিজেপি এবার ক্ষমতায় আসবেই বলে দাবি করছেন মোদী-অমিত শাহেরা, অন্যদিকে প্রতি দফায় প্রার্থী ঘোষণার পর আছড়ে পড়ছে বিক্ষোভের ঝড়। এবার ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি। জলপাইগুড়ি সদর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে সৌজিত সিংহের নাম ঘোষণা হতেই সেখানে শুরু হয় বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির ডিবিসি রোডের দলীয় দফতরে সমর্থকদের একাংশ জড়ো হয়ে সেখানে ভাঙচুর শুরু করেন, এমনকী আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় পার্টি অফিসে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল ও পুলিশবাহিনী। কোতোয়ালি থানার আইসি স্বয়ং ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান।
এই কেন্দ্রে প্রার্থী হবার দৌড়ে এগিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি দীপেন প্রামাণিক। সৌজিত সিংহের নাম ঘোষণা হবার পর দীপেনের অনুগামীরাই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পিছনেও তাঁরাই রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে লাগানো আগুন নেভায় দমকলের একটি ইঞ্জিন।
সৌজিতের নাম ঘোষণার পর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপিতে দীপেনের অনুগামী কানন রায়, দেবেন্দ্রনাথ পাণ্ডেরা। কানন রায়ের অভিযোগ, দীপেনের নাম প্রার্থীতালিকা থেকে কেটে দেবার পিছনে রয়েছে জেলা নেতৃত্ব। দেবেন্দ্রনাথ পাণ্ডের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যা খুশি করার যে মনোভাব নিয়ে চলছেন, তা মানা যায় না। যোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রার্থী তাঁরা মানবেন না বলেও জানিয়েছেন দীপেন অনুগামীরা।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলন, যাঁরা সারা বছর বিজেপির হয়ে ময়দানে থেকে লড়াই করছেন তাঁরা প্রার্থী হবেন না, অন্য কাউকে প্রার্থী করা হবে এ বিষয়টি মেনে নেওয়া যাবে না। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁরা মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ক্ষোভ থাকলেও কর্মীদের সংযত থাকার কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে যা বলার রাজ্য নেতারা বলবেন।