ফের খুন এক বিজেপি কর্মী। কোভিড আবহে লকডাউনের মধ্যেই বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় আক্রান্ত হন এক বিজেপি কর্মী। তাঁর নাম নির্মল মন্ডল। ঘটনাটি ঘটে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মারধরের হাত থেকে ছাড় পাননি তার স্ত্রীও। তাঁকেও বেধড়ক মারা হয়েছে বলে অভিযোগ।
লোহার রড দিয়ে তার মাথায়, ঘাড়ে বুকে মারা হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নির্মলকে গড়িয়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় তার। বিজেপির জেলা সুনীপ দাস বলেন খেয়াদহ এলাকায় সন্ত্রাস চলছে। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
উল্লেখ্য, মে মাসের প্রথমদিকে বিজেপি কর্মীদের ওপর একাধিক আক্রমণের প্রতিবাদ করতে সোনারপুরে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তিনি বলেছিলেন আদর্শের লড়াই লড়তে হবে বিজেপির নেতা কর্মীদের। সেই লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের কার্যকলাপের মোকাবিলা করতে প্রত্যেক কার্যকর্তাকে এগিয়ে আসতে হবে। গঠনমূলক পদ্ধতিতে মোকাবিলা চালাবে বিজেপি। সেই সফরে সোনারপুরের প্রতাপনগর মাটিয়ারী এলাকায় নিহত বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীর বাড়িতে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেখানে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেন তিনি। পরিবারের পাশে থাকার বার্তাও দেন নাড্ডা।
নাড্ডা তখন জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। একের পর এক বিজেপির কর্মী সমর্থক ও কার্যকর্তাদের ওপর হামলা চলছে। এই ধরণের ঘটনা আতঙ্ক বাড়ায়, উদ্বেগ বাড়ায়। তিনি বলেন ভারত ভাগের সময় এরকম অরাজকতার কথা শোনা গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতি ফিরে এসেছে মনে হচ্ছে, যে অব্যবস্থা ও অরাজকতা পশ্চিমবঙ্গে দেখা যাচ্ছে,তা ভয়াবহ।
নাড্ডা বলেন স্বাধীন ভারতে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা এত আক্রমণাত্মক ও ভয়াবহ হতে পারে, তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। বাংলায় ঠিক সেই ঘটনাই পর পর ঘটে চলেছে। যা রীতিমত দুর্ভাগ্যজনক। বাংলার মাটিতে এত অসহিষ্ণুতা আগে কখনও ছিল না। এই পরিস্থিতির সাথে বিজেপির কর্মীদের প্রত্যেককে গণতান্ত্রিক উপায়ে মোকাবিলা করতে হবে।
এদিকে, সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম বলেন আইন আইনের পথে চলবে। কেউ জড়িত থাকলে আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে বলে জানান তিনি।