ব্রিগেডের আগেও কাটল না জোটের জট, সিদ্দিকিদের জন্য ফের কি ট্রেন ফেল হবে বাম-কংগ্রেসের

রাত পোহালেই ব্রিগেডে বামেদের সভা

তার আগের দিন জোট পাকা করতে বাম-কং বৈঠক

তাতেও মিলল না রফাসূত্র

বামেদের কাছে আরও আসনের দাবি কংগ্রেসের

amartya lahiri | Published : Feb 27, 2021 2:51 PM IST

বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হতেই রাজ্যে বেড়েছে রাজনৈতিক তৎপড়তা। রাত পোহালেই, দীর্ঘদিন বাদে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বামেদের সভা। সেই সভায় অংশ নিচ্ছে কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফ। তবে সেই যৌথ ব্রিগেড সভার আগের দিনও এই তিন দলের জোট নিয়ে জট কাটল না। বামেদের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকিদের মোটামুটিভাবে সমঝোতা হলেও কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও তাদের আসন বোঝাপড়া সম্পূর্ণ হয়নি।

এদিন, জোট-জট কাটাতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং আব্দুল মান্নান, বাম নেতা বিমান বসু এবং মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। কিন্তু, তারপরেও আব্বাস সিদ্দিকিদের কংগ্রেসের আসন ছাড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে যে আসন সমঝোতা হয়েছিল, সেখানে কংগ্রেসকে ৯২ টি আসন ছেড়েছিল বামেরা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বামেদের থেকে মোট ১১০টি আসন চাইছে কংগ্রেস। বাড়তি যে আসনগুলি তারা পাবে, সেগুলি আইএসএফ-কে ছাড়বে তারা। এমনটাই জানা গিয়েছে।

২০১৬ সালে একেবারে নির্বাচনের মুখে এসে জোট গড়েছিল বাম-কংগ্রেস। সেভাবে জোট দানা বাঁধার আগেই এসে গিয়েছিল নির্বাচন। আর তার জন্য়ই জোট কাঙ্খিত সাফল্য পায়নি, বলে মনে করা হয়েছিল। এবার পাঁচ বছর আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। বাম-কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে তৃণমূল সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি। এই অবস্থায় অনেক আগে থেকে জোট গড়ার কাজ শুরু করেছিল দুই পক্ষ। মাঝে আব্বাস সিদ্দিকি ঢুকে পড়ায় কিছুটা হলেও থমকে গিয়েছে জোটের অগ্রগতি।

তবে এদিনের সভার পর বাম ও কংগ্রেস দুই পক্ষের নেতারাই জানিয়েছেন, জোটের জট যত দ্রুত কাটানোটাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে জট না কাটলেও রবিবার বামেদের ডাকা ব্রিগেডের সভায় কংগ্রেস ও আইএসএফ - জোটের বাকি দুই শরিকই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস ও আইএসএফ সমর্থকদেরও সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা। তাই 'টুম্পা সোনা' গান আর রুটি-আলুভাজার-লাড্ডুর প্যাকেটে ব্রিগেডের সভা সফল হবেই বলে আশা করছেন বাম নেতারা। 

Share this article
click me!