ভোটের আগে অধীরের গড়ে বড়সড় ধস! সুযোগ নিতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি

  • মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের গড়ে ভাঙন
  • দল ছাড়লেন ২ বারের বিধায়ক প্রতিমা রজক
  • টিকিট না পেয়েই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত 
  • ভোটের আগে হাত শিবিরের বাড়তে পারে সমস্যা
     

প্রতিমা রজক আর নেই। না না, তিনি সুস্থ রয়েছেন। কংগ্রেসে তিনি আর নেই। নেহাৎ অভিমানে তিনি দল ছেড়েছেন। অভিমানের কারণ, এখন যা দস্তুর, তাই। বিধানসভা ভোটের টিকিট। প্রতিমা রজককে এবার প্রার্থী করেনি কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন প্রতিমা। ২০১১ ও ২০১৬, পরপর দুবারই কংগ্রেসের আসন এনে দিয়েছিলেন তিনি। এ হেন প্রতিমা রজকের বদলে এবার ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে শিলাদিত্য হালদারকে। বৃহস্পতিবার অভিমানী কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক এদিন  বলেন, “মন ভালো নেই। আর দল করব না। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দল কেন আমাকে প্রার্থী করেনি তা বলতে পারব না। দল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রচারেও অংশগ্রহণ করব না। কারণ কোনও রকম কিছু হলে আমার ঘাড়ে দোষ চাপানো হতে পারে"।

প্রতিমা রজকের এ হেন সিদ্ধান্তে অধীরগড়ে দলীয় কোন্দল আর চাপা রাখা গেল না। এবারের প্রার্থী শিলাদিত্য হালদার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি। কয়েক মাস আগেই তাঁকে ওই বিধানসভা কেন্দ্র দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন থেকেই তিনি ঘুঁটি সাজাতে থাকেন। বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে ছোট ছোট বৈঠক করেন। তারপরই বিধায়কের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। শিলাদিত্য অধীর চৌধুরীর খাস আদমি বলেই পরিচিত এলাকায়। ফলে তাঁর পক্ষে লোক ছিল বিস্তর। তবে প্রতিমা রজকও একেবারে অনুগামীহীন নন। তাঁকে প্রার্থী করার জন্যও চাপ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতিমার ভাগ্যে চিঁড়ে ভেজেনি। 

Latest Videos

কংগ্রেসের অনেকেই বলছেন, প্রতিমাদেবীর ভাবমূর্তি যথেষ্ট ভাল। তিনি দু’বারের বিধায়ক, এছাড়া দু’বার জেলা পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকায় বিরোধীরাও তাঁকে আক্রমণ করতে পারত না। দুর্দিনেও তিনি দল ছেড়ে যাননি। তাই তাঁর এই সিদ্ধান্ত দলকে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে। দলের এক নেতা বলেন, শিলাদিত্যবাবু এলাকার লোক নন। এই কেন্দ্রের ভোটাররা বহিরাগতকে মেনে নেবেন না। আগে দলের শীর্ষ নেতা যা সিদ্ধান্ত নিতেন সেটা সবাই মেনে চলতেন। এখন সেই অবস্থা নেই। তাছাড়া সংগঠনও আগের মতো মজবুত নয়। এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ছাড়াও বিজেপিও দলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। কংগ্রেসের অনেক নিচুতলার কর্মী-সমর্থক গেরুয়া শিবিরকে সমর্থন করছে। তৃণমূলও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সামনে রেখে নিজেদের ভিত অনেকটাই মজবুত করেছে। এই অবস্থায় প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত দলের কাছে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বিধায়কের অনুগামীরা ময়দানে না নামলে দলের সমস্যা আরও বাড়বে। 

কংগ্রেসের শক্ততম ঘাঁটি মুর্শিদাবাদে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসার সুযোগ নিতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি। তৃণমূল প্রার্থী জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, “ওদের দলই বিধায়কের উপর ভরসা করতে পারল না। এই এলাকায় কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থেকেও কোনও কাজ করেনি। তাই বাইরে থেকে প্রার্থী এনেও কোনও লাভ হবে না"। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপি সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন," বড়ঞায় কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দলের মধ্যেই প্রার্থী নিয়ে লড়াই চলছে। ওখানকার মানুষ আমাদের ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন"।  অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক সচিব তথা জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন,"বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, পাশাপাশি প্রতিমা দেবীর অভিমানের কারণ আমরা খতিয়ে দেখব"।


 

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live : কোলাঘাটের মঞ্চে বিস্ফোরক ভাষণ শুভেন্দু অধিকারীর, সরাসরি | Bangla News
Suvendu Adhikari: হিন্দুদের ভোটার আইকার্ড কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র, এ কী বলছেন শুভেন্দু
সত্যিই একটা জিনিস বটে! ক্যানিং থেকে গ্রেপ্তার তরুণী পরিচারিকা | Canning News | Bangla News
Rashifal : আজ আপনার ভাগ্য কি বলছে? দেখুন শুক্রবারের রাশিফল | Astro | Friday | Horoscope
জালে পুরনো পাপী! জাল পাসপোর্ট পৌঁছে যেত অনুপ্রবেশকারীদের হাতে! | Duttapukur News | Kolkata