বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে নন্দীগ্রাম মামলা অন্য বেঞ্চে সরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। এর কারণ হিসেবে বিচারপতি কৌশিক চন্দের রাজনৈতিক যোগের কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যদিও ধোপে টিকল না সেই আর্জি। আজ সকাল ১১টার সময় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসেই এই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- কোভিডে চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের এই ৩ জেলা, কী অবস্থা কলকাতার
উল্লেখ্য, ১৮ জুন বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে উঠেছিল নন্দীগ্রাম মামলা। কিন্তু, সেইদিন হাইকোর্টে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত না থাকায় শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুনানির আগে বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান, জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী নির্বাচনী আর্জিতে মামলাকারীকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী হাজির থাকতে পারবেন কি না তা জানতে চান বিচারপতি। তখন সঞ্জয় বসু বলেন, "আইনে যা সংস্থান আছে তা মেনে চলব"। এই কারণেই শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- আজ থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে, বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু-এক পশলা কলকাতায়
এরপরই ভাইরাল হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিচারপতি কৌশক চন্দের একটি ছবি। যেখানে একই অনুষ্ঠানে তাঁদের দু'জনকে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, বিচারপতি কৌশিক চন্দে আগে বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তাই তাঁর এজলাসে নন্দীগ্রাম মামলা উঠলে বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তারপরই মামলা অন্যত্র সরানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের কাছে আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী। যদিও আবেদন করা সত্ত্বেও অন্য বেঞ্চে সরানো হল না এই মামলা। আজ বিচারপতি কৌশক চন্দের এজলাসেই নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে বিধানসভা আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই কেন্দ্রে শুভেন্দু অল্প ভোটের ব্যবধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারান। এরপর ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সেই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে বিচারপতি কৌশক চন্দের এজলাসে। উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।