বাঁকুড়ার ছাতনার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চড়া সুরেই নিশানা করেন কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। তাঁর ভাষণে নোটবন্দি অতিমারি যেমন গুরুত্ব পেয়েছে তেমনই গুরুত্ব পেয়েছে ইডি সিবিআই-এর তৎপরতা, দিল্লির উপণ্ঠে চলা কৃষক আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমত কটাক্ষ করে বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দেশ পরিচালনা করবে, না কোথায় কোন সংস্থা কাকে গ্রেফতার করবে বা কাকে বিরক্ত করবে তার নির্ধারণ করবেন? তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনতা উদ্দেশ্য প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, কে নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করছে? উত্তর দেওয়ার ভঙ্গিতে নিজেই বলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেস অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। কিন্তু তিনি নির্বাচন কমিশনের নিত্যদিনের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরই কৃষক আন্দোলন নিয়ে সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন দিল্লির উপকণ্ঠে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে কৃষকরা আন্দোলন করছেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কথা বলাকর সময় নেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সকলেই এখানে আসছেন। তাঁরা সর্বদা তৃণমূল কংগ্রেসকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারপরই মমাত বন্দ্যোপাধ্যায় সুর চড়িয়ে বলেন তাঁকে হত্যারও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কলকাতায় হোটেল বুক করা হ্চ্ছে। এদিন কথা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন গর্ডেনরিচে তাঁকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের জোরে তিনি বেঁচে গেছেন। সেই সময় আখতার নামের একটি মুসলিম ছেলে তাঁকে আড়াল করেছিল গুলিটি তাঁর হাতে লেগেছিল বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পায়ের চোট নিয়ে জনসভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, তাঁর পায়ে খুব যন্ত্রণা। ব্যাথা হচ্ছে। কারণ মানুষের পায়ের হাড় মোটা হয়। পায়ে অনেক রক্তও জমে রয়েছে বলেও জানিয়েছে। তিনি আরও বলেন ব্যাথা নিয়েই তাঁকে জনসভায় আসতে হচ্ছে। না হলে হার্মাদরা সব শেষ করে দেবে বলেও মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভোট যুদ্ধে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন তিনি আঘাতের কাছে হারবেন না। আঘাত তাঁর কাছে হেরে যাবে। বাংলা মাকে রক্ষা করার জন্যই তিনি এত কষ্ট করছেন।
দলত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়. শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপি নেতাদের নাম না করেই তাঁদের নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সিপিএম থেকে আসা কিছু গুন্ডা তাঁদের দলে ছিল। সেইসঙ্গে বিশ্বাসঘাতক, মিরজাফরও ছিল। তাদের তাড়িয়ে দেওয়ার আগেই তারা দল ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। সেই জন্য তিনি ও তাঁর দল বেঁচে গেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন মমচা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার ছাতনার জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি আগামী বছর থেকে আর পেঁয়াজ আমদানি করা হবে না বাংলায়। প্রয়োজনীয় পেঁয়াজই এই রাজ্যে উৎপাদন করা হবেয